Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উত্তরবঙ্গে পানি কমলেও মধ্যাঞ্চলে এখনো বন্যা


৭ আগস্ট ২০২০ ১৭:১৫

ঢাকা: দেশের সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় পানি কমেছে, তবে মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা এখনও বন্যাকবলিত।

এরমধ্যে আবার আগস্ট মাসের শেষের দিকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল আকস্মিক বন্যায় আরেকবার ডুবতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। মেঘ মানচিত্রের বরাত দিয়ে কেন্দ্রটি বলছে, চলতি মাসের শেষের দিকে উজানে ভারি বর্ষণ হতে পারে। একই সময়ে বাংলাদেশেও প্রবল বৃষ্টি হবে। এই কারণে আকস্মিক বানে আবারও তলিয়ে যেতে পারে দেশের নিম্নাঞ্চল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গে পানি কমছে। মধ্যাঞ্চলের এখনও বন্যা থাকলেও পানি কমা শুরু হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১৪টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া নদীগুলোর মধ্যে যমুনার পানি সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জ ও আরিচায়, সিংড়ায় গুড় নদীর পানি, বাঘাবাড়িতে আত্রায়ের পানি, এলাসিনে ধলেশ্বরীর পানি, ডেমরায় বালু নদীর পানি, নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যার পানি, মিরপুরে তুরাগ নদীর পানি, টঙ্গীতে টঙ্গী খালের পানি, তারাঘাটে কালিগঙ্গার পানি, জাগিরে ধলেশ্বরীর পানি, নায়েরহাটে বংশী নদীর পানি, পদ্মার পানি ভাগ্যকুল, মাওয়া ও সুরেশ্বরে, মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁর পানি, ব্রাহ্মবাড়িয়ায় তিতাসের পানি এবং চাঁদপুরে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে। কমছে যমুনার পানিও। এই নদ-নদীর পানি আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত কমতে থাকবে। কমবে পদ্মার পানিও। জুনের শেষ থেকে হওয়ার এবার বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখের মতো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে প্রায় ২৫টি জেলার নিম্নাঞ্চল।


আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি গত বুধবার রাতে দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়ে ভারতের মধ্য প্রদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় হওয়ায় আজও দেশের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মৃদু তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকবে।

এদিকে চলমান বন্যায় ইতোমধ্যেই পানিতে ডুবে ও নানা কারণে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার পানিতে ডোবার পাশাপাশি সাপের দংশনে এবং বিভিন্ন রোগে মানুষের মৃত্যু ঘটছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল হেল্থ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এখনো পর্যন্ত ১৬১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এদের সবাই পানিতে ডুবে, ডায়রিয়ায়, সাপের কামড়ে ও বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এরমধ্যে পানিতে ডুবে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে মারা গেছে ১৩ জন।

বন্যা উপদ্রুত এলাকায় চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, শ্বাসনালীর প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৭৩ জন। সবচেয়ে বেশি ১০ হাজার ২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

উত্তরবঙ্গ পানি কমেছে বন্যা পরিস্থিতি বন্যাকবলিত মধ্যাঞ্চল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর