শর্ত ভাঙায় মানবতাবিরোধী মামলার এক আসামির জামিন বাতিল
৯ আগস্ট ২০২০ ১৪:৩৬
ঢাকা: শর্ত ভাঙার কারণে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা জোবায়ের মনিরের জামিন বাতিল করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (৯ আগস্ট) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন বাতিলের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। আসামিপক্ষে ছিলেন মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
গত ৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ আসামির জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এ আসামি জামিন নিয়ে জামিনের শর্ত ভঙ্গ এমনটি উল্লেখ করে তার জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর।
প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘আসামি জোবায়ের মনিরকে ঢাকার বাসায় থাকার শর্তে জামিন দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সে শর্ত তিনি ভঙ্গ করে করেছেন। এ কারণে আজকে তার জামিন বাতিল করেছেন আদালত। এখন থেকে তিনি কারাগারে থাকবেন।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি লিখিত অভিযোগ দেন পেরুয়া গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা রজনী দাস। এরপর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এই গণহত্যার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। একপর্যায়ে এই গণহত্যায় যুক্ত থাকা ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় ট্রাইব্যুনাল থেকে। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর জোবায়ের মনির, জাকির হোসেন, তোতা মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান, আবদুল জলিল, আবদুর রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৯ সালের ১৭ জুন রজনী দাসের করা মামলায় জোবায়ের মনিরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নুর হোসেন।
পরে জোবায়ের মনির অসুস্থতা জনিত কারণ দেখিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘ঢাকা শহরে নিজ বাসায় অবস্থান করবেন, শহর ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না’—এই শর্তে ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু তিনি জামিনের সেই শর্ত ভেঙে ঈদের আগের দিন শাল্লা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে যান। ঈদের দিন পশু কোরবানি দিয়েছেন। এরপর নিজের লোকজনকে নিয়ে নৌকা ও স্পিডবোটে করে এলাকায় ঘুরেছেন। গত সোমবার তিনি এলাকা ছেড়েছেন বলে পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এরপরই রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়।