‘বন্যায় আউশ ও আমনের ক্ষয়ক্ষতির ওপরে নির্ভর করছে চাল আমদানি’
৯ আগস্ট ২০২০ ১৬:৪৩
ঢাকা: প্রয়োজনে সীমিত পরিমানে চাল আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আপাতত দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। এবার বন্যায় আউশ ও আমন কি পরিমান হয়েছে এবং তার বিপরীতে উৎপাদনসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
রোববার (৯ আগস্ট) দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চলমান বন্যায় আউশের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমন ধানও অনেকক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। খরার কারণে অনেক সময় উৎপাদন আশানুরূপ হয় না।এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে যদি আমনের ফলন ভাল না হয়, বন্যা প্রলম্বিত হয়, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ঠিকমতো কাটিয়ে ওঠা না যায়, তবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কৃষিতে চলমান বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব ধরনের কার্যক্রম চলছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমন মৌসুমে উৎপাদন বাড়াতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, আগামী রবি মৌসুমের সব ফসলে উৎপাদন বাড়াতে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে করোনা, আম্পান, ও চলমান বন্যার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’
বৈঠকে অংশ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কোভিড-১৯ সময়েও মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার মানসিকতা সবার নেই। একটা গ্রুপ রয়েছে যারা সুযোগ পেলেই চালের দাম বাড়িয়ে দেয়। কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করে। আমাদের কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থকেই গুরুত্ব দিতে হবে। এই দুয়ের মাঝে সমন্বয় করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ তবে জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে সরকারি মজুদ সঠিক পরিমাণ রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।