Wednesday 09 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রফতানি বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজতে দূতাবাসগুলো কাজে লাগাতে চায় সরকার


৯ আগস্ট ২০২০ ২০:৪৬

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস পরবর্তী রফতানি বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজতে বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগাতে চায় সরকার। বিশেষ করে সৌদি আরব, কুয়েত ও উজবেকিস্থানের মতো দেশগুলোতে বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ দেশগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার কথাও বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (৯ আগস্ট) সরকারি থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলাপকালে এই পরিকল্পনার কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

কনফারেন্সে সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি, কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্টট্রদূত মেজর জেনারেল আসিক এবং উজবেকিস্থানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব, কুয়েত ও উজবেকিস্থান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। এখানে বাংলাদেশি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্যের সুযোগ নিতে হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। রাষ্ট্রদূতেদের বাণিজ্য প্রসারে অবদান রাখতে হবে। কোভিড-১৯-এর কারণে পরিবর্তী বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে, এ সুযোগকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে।’ এরইমধ্যে রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বমন্দা অর্থনীতির মধ্যেও গত বছরের জুলাই থেকে এবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের রফতানি আয় ২৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন বেশি হয়েছে। রাষ্ট্রদূতেরা গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের রফতানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া একটি বড় বাজার। এ বাজারে প্রবেশ করতে আমরা কাজ করছি। এ জন্য উজবেকিস্থান বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উজবেকিস্থানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশ বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে সৌদি আরবে রফতানি হয়েছে ২৬২ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৭৯৬ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। কুয়েতে রফতানি হয়েছে ২৩ দশমিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩৮২ দশমিক ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। উজবেকিস্থানে রফতানি হয়েছে ১৯ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

টপ নিউজ টিপু বাণিজ্য বিদেশি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর