‘প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় প্রেমিক’
৯ আগস্ট ২০২০ ২৩:১৯
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৫) নৌকায় ধর্ষণের পর হত্যা করে তার মৃতদেহটি শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় প্রেমিকসহ আরও দুজন। এ ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
রোববার (৯ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে তিন আসামি জবানবন্দি দেয়। আসামিরা হলেন- বন্দরের খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রাকিব (১৯) ও নৌকার মাঝি খলিল।
এর আগে গত ৪ জুলাই পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। ঘটনার একমাস পর ৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থীর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।
মামলায় মেয়ের বাবা জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আব্দুল্লাহ মেয়েটিকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে বাধা দিলে মেয়েটিকে অপহরণের হুমকি দিত তারা। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ফোনে ঠিকানা দিয়ে যেতে বললে আমার মেয়ে সেখানে যায়। পরে তাকে গাড়িতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই মেয়ের কোনো খোঁজ নেই।
এদিকে আসামিরা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে আনার পর তাকে নৌকায় ঘুরতে নিয়ে যায় তারা। এক পর্যায়ে তারা তিনজন মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে নৌকার মাঝি ও দুজন মিলে মেয়েটিকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর আমরা দ্রুত দুই আসামিকে গ্রেফতার করি। পরে মাঝিকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খোঁজ করেও ভিকটিম বা তার মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।