ঢাকা: করোনাকালে ঈদযাত্রা ও গণপরিবহনে অতিরিক্তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা প্রত্যাশিত নয়। পরিবিহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে এ বিষয়ে আমি বলেছি। তারা প্রতিশ্রুতি দিলেও ভাড়া আদায় বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে এবারের ঈদে কথা দিয়েও কথা রাখেননি।
সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের।
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের সময় সতর্কভাবে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করা হলেও অনেকেই তা মানেনি। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এটা আমার জন্য মন্ত্রণালয়ের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। মালিক-শ্রমিকদের ইমেজের জন্যও এটা ভালো নয়। আমি আবারও বলছি, আর কতদিন জনগণের প্রশ্নের জবাব সড়কে শৃংখলা নিয়ে আমাদের দিতে হবে?’ এসময় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিআরটিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় থাকার আহ্ববান জানান ওবায়দুল কাদের।
গণপরিবহন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাটসহ অন্যান্য স্থানে মাস্ক পরিধান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনেকের উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের কোনো কোনো দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানছে। এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের উদাসীনতা ভয়ানক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
করোনার এই সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা এবং বাসা-বাড়িতে অবস্থান করায় শিশু কিশোর এবং তরুণদের মানসিক চাপ বেড়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। ইতোমধ্যে অনলাইনে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’ পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরকার যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেবে বলেও জানান মন্ত্রী।