Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুজিববর্ষে সারাদেশে ১০ লাখ বৃক্ষরোপণ করবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়


১০ আগস্ট ২০২০ ১৭:৫৩

ঢাকা: মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপণের কর্মসূচি নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত সংস্থাসমূহের অফিস প্রাঙ্গণ, আওতাধীন জমি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের খাল-নদী তীর ও অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় ১০ লাখ গাছ লাগানো হবে।

সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, ‘মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনীর লক্ষ্যে ১ কোটি চারা রোপণ কর্মসূচি চালু হয়েছে। দেশে মোট বনভূমি ২৫ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুশাসন পালনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৯টি বিভাগের অধীনে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ১০ লাখ বৃক্ষরোপণ করা হবে।’

আগামী ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্ট দুই ধাপে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সব জেলাসমূহে বৃক্ষরোপণ কাজ তদারকি করবেন। প্রত্যেক এলাকার সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় প্রশাসন, সংবাদ মাধ্যমের সদস্য, সুশীল সমাজ,স্কাউটস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

কর্মসূচির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘একটি গাছ সারাজীবনে কমপক্ষে ২.৫ লাখ টাকার ভূমিক্ষয় রোধ করে। উপকূলীয় এলাকায় দেখা যায়, সব দুর্যোগে যেখানে গাছ আছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। বাঁধ টেকসই করতে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই।’

এর আগে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘নির্ধারিত ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ১০ লাখ চারা রোপণের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পারবো। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘আমরা বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা পর্যায়ে ভূপ্রকৃতি, পরিবেশ প্রতিবেশ বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত প্রজাতির চারা রোপণ করবো। কারণ সব এলাকায় সব চারা বাঁচবে না। কাল থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী চালু থাকবে আমাদের প্রোগ্রাম।’

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সি-ডাইকের উভয় ঢাল ও অফশোরে সবুজায়ন যোগ্য গাছের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে- নারিকেল, কেওড়া, গেওয়া, ঝাউ ইত্যাদি। বিভিন্ন রেগুলেটর সাইটে সবুজায়নযোগ্য গাছের প্রজাতি হচ্ছে- আম, জাম, কদম, বকুল, পলাশ, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, সোনালু, কৃষ্ণচুড়া, মান্দার ইত্যাদি। সেঁচ ও নিষ্কাশন খালের উভয় পাড়ে সবুজায়নযোগ্য গাছের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে তাল, নারিকেল, সুপারি ও খেজুর।

এছাড়া উপকূলীয় বাঁধের সবুজায়নে পুনিয়াল, বাবলা, গেওয়া, ঝাউ এবং ডুবন্ত বাঁধের উভয়দিকে টো লাইনের সবুজায়নযোগ্য হিজল, জারুল, পিটালি, তমাল, বরুণ ইত্যাদি গাছ লাগানো হবে।

আওতাধীন জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর