Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মিথ্যা মামলা ও হুমকি দিয়ে ‘রাজা ফিশারি’ দখলের চেষ্টা


১১ আগস্ট ২০২০ ০৯:০৪

মৌলভীবাজার: একের পর এক মিথ্যে ও সাজানো মামলা এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে শ্রীমঙ্গলের মতিগঞ্জ এলাকার প্রয়াত মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা মিয়ার সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়াত মাস্টারের ছেলে ব্রিটিশ নাগরিক গোলাম মোরসালিন মোস্তফা সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন।

তিনি জানান, তারা বাবা-মা, তিন ভাই এবং দুই বোনসহ লন্ডনে বসবাস করতেন। কিন্তু তার বাবা সদ্য প্রয়াত মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা মাটির টানে নিজ দেশে কিছু করার জন্য বাংলাদেশে চলে আসেন। একপর্যায়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মতিগঞ্জ এলাকায় তিনি এবং তার বাবা ‘রাজা ফিশারিজ এন্ড হ্যাচারি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটি মৌলভীবাজার জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

বিজ্ঞাপন

গোলাম মোরসালিন মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, ‘সম্প্রতি আমি লন্ডন থেকে দেশে আসি। আসার পর থেকেই আমি ও আমার ভাই-বোনের ওপর একের পর এক মিথ্যা মামলা এবং সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন বানিয়াচং এলাকার মৃত দেওয়ান গোফরান মিয়ার মেয়ে দেওয়ান নুরজাহান রানী।’

বর্তমানে গোলাম মোরসালিন মোস্তফা মালিক ও পরিচালক হিসেবে তার বাবার সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেখাশুনা করছেন। তিনি জানান, শুধু তাই নয় হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার, বড় বাজার এলাকায় তার বাবার কেনা বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে দেওয়ান নুরজাহান রানী তার ভাইসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি ফিশারিজ এন্ড হ্যাচারিতেও হামলা চালানোর ঘটনাও ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

হামলার বর্ণনা দিয়ে গোলাম মোরসালিন বলেন, ‘সম্প্রতি লন্ডন থেকে আমার ভাই-বোনসহ পরিবারের সবাই এসেছিলেন শ্রীমঙ্গলের ফিশারির বাসায়। কিন্তু সেই নারী হঠাৎ একদিন তার ভাইসহ অস্ত্রধারী ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ফিশারিতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। এ ঘটনায় ফিশারিতে কর্মরত অনেকেই আহত হয়। পরে শ্রীমঙ্গল থানায় আমরা মামলা দায়ের করি। ইতিমধ্যে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে দেওয়ান নুরজাহান বেগমের মোবাইলে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কোনো কথা না বলেই ফোন কেটে দেন। তারপর একাধিকবার তার বক্তব্যের জন্য ফোন এবং মেসেজ দিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) মো আশরাফুজ্জান বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত চলছে।’ তবে ভুক্তভুগী যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন আর সেজন্য ইন্ডিভিজুয়ালি নিরাপত্তা চান তবে সেক্ষেত্রে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

দখল রাজা মিয়া শ্রীমঙ্গল সাজানো মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর