‘৭৫ পরবর্তী খুশি কলাম লেখকদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে’
১৩ আগস্ট ২০২০ ১৬:৪২
ঢাকা: ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর পত্রিকার পাতায় যারা কলাম লিখেছিলেন তাদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সে সময়ে তারা খুশি হয়েই পত্রিকার পাতায় কলাম লিখেছিলেন। তাই তাদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘১৫ আগস্ট নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারে কমিশন চাই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনকের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার হলেও কুশীলবদের বিচার হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য একটি কমিশন করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে শতবছর পর হলেও আগামী প্রজন্ম সত্য ইতিহাস জানতে পারবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ধ্বংস করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু অনেক আইন করেছিলেন। ওনার সেই আইনের (মৈত্রী চুক্তি) ফলে আমাদের স্থলসীমানা বেড়েছে, পরিচয়হীন ছিটমহল বাসিদের পরিচয় মিলেছে। আমরা ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা পেয়েছি।’
আলোচনা সভায় প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘জাতির জনকের রায়ের সময় বিচারকরা বলেছিলেন খুনিদের সাজা হলো, ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। জাতির জনককে হত্যার কুশীলবদের বিচারে কমিশন গঠন সময়ের দাবি।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার একযুগ পর কেনো রায় হলো, কেনো তারও অনেক পরে তা কার্যকর হলো এটাও দেখতে হবে। নিশ্চয়ই সেখানে ষড়যন্ত্র ছিলো। সে ষড়যন্ত্র থেমে নেই আজও চলমান। ষড়যন্ত্রের শেকড় অনেক গভীরে তা বের করে আনতে হবে।’
ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপুর পরিচালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমি, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী রফিক, জলিল ভুইয়া, ওমর ফারুকসহ বিএফইউজে ও ডিইউজের সাবেক এবং বর্তমান নেতাকর্মীরা।