‘ভারতের সরকারি যোগাযোগ ২২ ভাষায় হওয়া উচিত’
১৪ আগস্ট ২০২০ ০০:১৬ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২০ ১০:০৩
ভারতের কেন্দ্র সরকারের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের ভাষা শুধুমাত্র হিন্দি ও ইংরেজি কেন – তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। খবর হিন্দুস্থান টাইমস।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ভারতের শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র সরকারের এক পিটিশন শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, সরকারের উচিত ১৯৬৩ সালের অফিশিয়াল ল্যাঙ্গগুয়েজ অ্যাক্টে সংশোধনী আনা। দেশের ২২টি শিডিউল ভাষাকে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের ভাষা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া উচিত।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে শুধুমাত্র ইংরেজি বা হিন্দি নয়। যে কোনো ভাষায় কেন্দ্র সরকার আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে পারবে।
এদিকে, ভারতের সংবিধানের অষ্টম শিডিউলে যে ভাষাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদেরকে শিডিউল ভাষা বলা হয়। ওই ভাষাগুলোকে সরকারি স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়। কিন্তু, দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের দাফতরিক কাজ হয় শুধুমাত্র ইংরেজি ও হিন্দিতে।
এ ব্যাপারে ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক মানুষ আছেন যারা ইংরেজি বা হিন্দি জানেন না। সেখানে তাদের মাতৃভাষা ব্যবহার করতে পারলে সুবিধা হবে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ বিষয়ক অ্যাসেসমেন্ট সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিটি যেন ২২টি শিডিউলড ভাষায় জারি করা হয়।
ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র সরকার। আদালতে বলা হয় যে সংবিধানের ৩৪৩ ধারা অনুযায়ী দেশের দুটি সরকারি ভাষা হচ্ছে হিন্দি ও ইংরেজি।
সুপ্রিম কোর্ট শুনানিতে বলেছে, আইনের দিক থেকে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে আসতে পারে কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের ভাবনাটি সঠিক ছিল।