Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পর্বতারোহী রেশমার ঘাতকদের শাস্তি চেয়ে সাইকেল রাইড


১৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:১০

ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দেওয়া পর্বতারোহী ও সাইক্লিস্ট রেশমা নাহার রত্নার ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে রাজধানীতে সাইকেল রাইড করেছেন সাইক্লিস্টরা। তারা রেশমাকে চাপা দেওয়া মাইক্রোবাসের চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একইসঙ্গে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি তোলেন।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টায় অর্ধশতাধিক সাইক্লিস্ট মানিক মিয়া এভিনিউ সড়ক থেকে হাতিরঝিল পর্যন্ত সাইকেল রাইডে অংশ নেন। সাইক্লিস্টদের সংগঠন অভিযাত্রী এই রাইড আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সাইকেল রাইড শুরু হওয়ার আগে সাইক্লিস্টরা বলেন, বাস-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের অনেকেরই লাইসেন্স নেই। তারা যথাযথভাবে প্রশিক্ষিতও নন। যে কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া গেলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

রাজধানীতে পৃথক সাইকেল লেনের দাবি জানিয়ে সাইক্লিস্টরা বলেন, সাইকেল একটি পরিবেশবান্ধব বাহন। বিশ্বের অনেক দেশেই সাইকেলের জন্য আলাদা লেন আছে। আমরাও দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা শহরে সাইকেলের আলাদা লেনের দাবি জানিয়ে আসছি। এখন সাইকেলের আলাদা লেন সময়ের দাবি।

আরও পড়ুন- রাজধানীতে মাইক্রোবাসের চাপায় প্রাণ গেল পর্বতারোহী রেশমার

অভিযাত্রীর সোহাগ বিশ্বাস সারাবাংলাকে বলেন, রেশমা নাহার রত্নার স্মরণে আমরা আজ ১৪ কিলোমিটারের একটি সাইকেল রাইড করেছি। মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু করে হাতিরঝিলে পুরো একটি চক্কর দিয়ে রাইড শেষ করেছি। আমরা রত্নার ঘাতকের বিচার চাই। আমাদের দাবি, সাইকেলের জন্য পৃথক লেন থাকবে, যেন তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারে। কেবল সাইকেল নয়, সব যানবাহনের নিরাপত্তা চাই। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই।

বিজ্ঞাপন

রেশমা নাহার রত্না ছিলেন একজন পর্বতারোহী। পেশায় শিক্ষক একইসঙ্গে তিনি দৌড়বিদ ও সাইক্লিস্টও ছিলেন। সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোই ছিল রেশমার লক্ষ্য। সে কারণেই কঠোর অনুশীলন করতেন সবসময়। এর মধ্যে গত শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে চন্দ্রিমা উদ্যানের লেক রোডে সাইক্লিংয়ের সময় একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান রত্না।

২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট ভারতের লাদাখে অবস্থিত স্টক কাঙরি পর্বত ও ৩০ আগস্ট কাং ইয়াতসে-২ পর্বতে সফলভাবে আরোহণ করেন রত্না। দুটি পর্বতই ছয় হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের পাহাড় কেওক্রাডংয়ের চূড়া স্পর্শ করার মাধ্যমে শুরু হয় রেশমা রত্নার অভিযান। ওই বছরই মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে অবস্থিত পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টিইনিয়ারিংয়ে যান তিনি। কিন্তু অ্যাডভ্যান্স বেজক্যাম্পে যাওয়ার পর তার পায়ে ফ্র্যাকচার হয়। দেশে ফেরার পর সুস্থ হতে লেগে যায় দীর্ঘদিন। পরবর্তী সময়ে নিজ উদ্যোগে সফলভাবে পর্বতারোহণের মৌলিক ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি।

ঘাতকের শাস্তি দাবি নিরাপদ সড়ক পর্বতারোহী রেশমা রেশমা নাহার রত্না সাইকেল র‌্যালি সাইকেলের পৃথক লেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর