শ্লীলতাহানিকারীরা কেউ যেন পার না পায়: চুমকি
৯ মার্চ ২০১৮ ১৫:৪৯
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ৭ মার্চ রাজধানীতে রাস্তায় প্রকাশ্যে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িতরা কোনোভাবেই যেন পার না পায় সে ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শুক্রবার (০৯ মার্চ) সকালে ‘অগ্রযাত্রায় অদম্য নারী’ শীর্ষক এক সেমিনার ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দৈনিক ভোরের কাগজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। ওই দিন রাস্তায় এত এত মানুষ ছিল কিন্তু কেউ কেন এগিয়ে এল না? অন্যদের এগিয়ে আসা উচিত ছিল।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুধু সরকার সচেতন থাকলে চলবে না। সব মানুষকেই সচেতন হতে হবে। নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে। আমাদের নারীদের মেধা আছে, তারা এগিয়ে যাবেই।’
‘নারীরা সকল ক্ষেত্রেই অবদান রেখে চলছে। ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে। নারীদের অনেক অর্জন আমরা লক্ষ্য করি। সব স্তরেই নারীরা কাজ করছেন’ -বলেন চুমকি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে ৬ নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তারা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা ফুরকান বেগম ও ভাষাসংগ্রামী চেমন আরা। এ ছাড়া অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য লুনা সামসুদ্দোহা, চিকিৎসায় প্রফেসার ডা. সাইবা আক্তার, ক্রীড়ায় জহোরা রহমান লিনু ও সাহসিকতায় সাহেদা সুলতানাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমাজকর্মী অ্যারোমা দত্ত বলেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীদের আরও শক্তিশালী হতে হবে। এ বছর নির্বাচনের বছর। নারীরা ভোট দিবে এবং ভোটে দাঁড়াবে। আরও বেশি সংক্ষক নারী সংসদে আসুক, স্থানীয় সরকারে আসুক এটা আমি প্রত্যাশা করি।’
সম্মাননা পাওয়ার পর লুনা সামসুদ্দোহা বলেন, ‘আইটি সেক্টরে অনেক বাধা পেরিয়ে আমরা এই স্থানে এসেছি। এখন নারীরা প্রযুক্তিতে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে। দেশের প্রবৃদ্ধি যে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, এটা কিন্তু নারীদের ছাড়া হয়নি।’
র্যাব কর্মকর্তা সাহেদা সুলতানা বলেন, ‘র্যাব-৭ এ আমি একমাত্র নারী কর্মকর্তা, অনেক ক্ষেত্রেই অনেক অপারেশনের প্ল্যান আমাকে করতে হয়। এবং সফলও হই।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি, উইমেন চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিমা আহমেদ, লেখক ও সিনিয়ন সাংবাদিক দিল মনোয়ারা মনু, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল ও কবি কাজী রোজী।
সারাবাংলা/ইএইচটি/আইএ/আইজেকে