‘শেখ হাসিনা না থাকলে দেশের অবস্থা আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ হতো’
১৪ আগস্ট ২০২০ ২৩:৪৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না এলে বাংলাদেশের আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ হতো বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মন্দিরে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি ভাবধারার সাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। এজন্য আমরা জিয়াউর রহমানকে ঘৃণা করি।’
‘আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তখন বিদেশে ছিলেন। উনি যদি দেশে এসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত না করতেন, তাহলে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র দূরের কথা, বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়েও একটি খারাপ রাষ্ট্রে পরিণত হতো। আওয়ামী লীগ ২১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু বিরোধী দলে থেকেও রাষ্ট্রকে প্রভাবিত করার মতো সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব উনার ছিল। তার ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কারণে অনেক ষড়যন্ত্র স্বত্ত্বেও রাষ্ট্রের চরিত্র পরিবর্তন করা যায়নি’, বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশের সকল মানুষ আজ শান্তিতে আছে। বিএনপির লোকরাও বলেন, দেশের মানুষ আজ নিরাপদ আছে আওয়ামী লীগের জন্য না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দলমতের উর্দ্ধে উঠে গেছেন। তিনি আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে গেছেন। যতদিন শেখ হাসিনা আছেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর কোনো আঘাত আসতে পারবে না।’
বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র যাতে বজায় থাকে সেজন্য সবাইকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ এবং শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহ্বান জানান উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ও নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী এবং হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম কুমার শর্মা।