বনানীতে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা
১৫ আগস্ট ২০২০ ১৩:৫৯
ঢাকা: আজ শোকের দিন। এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে সেদিন ছোট্ট শিশু রাসেলও রেহায় পায়নি। নির্মমভাবে বুলেটের আঘাতে তাকেও হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয় অন্যান্য সদস্যদেরও। তবে সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট এর অন্যান্য নিহতের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শনিবার ( ১৫ আগস্ট) সকালে বনানী কবরস্থানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ অন্যান্যদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীরা এক এক করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে সময় যতো বাড়তে থাকে আওয়ামী ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধায় বনানী কবরস্থানের কবরগুলো ফুলের পাপড়িতে ভরে যায়। কবরস্থানে দলে দলে মানুষ আসছে, স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হতে থাকে বনানী কবরস্থান। তবে স্লোগানের পাশাপাশি অনেকেই কবরের সামনে মোনাজাত করছেন, দোয়া পড়ছেন। নিহত সবার জন্য দোয়া করছেন। কেউবা দীর্ঘসময় কবরগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে সূরা পাঠ করছেন। এভাবে সকাল থেকে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে থাকে সর্বস্তরের মানুষ।
সকাল ১০টার পরে বনানী কবরস্থানে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে নিজেই নেতাকর্মীদের নিয়ে মোনাজাত করেন। এ সময় তিনি নিহতের সবার মাগফিরাত কামনা।
অন্যদিকে সকালে বনানী কবরস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেরিয়ে যাওয়ার পরে একে একে শ্রদ্ধা জানায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ উত্তর ও দক্ষিণ,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ মটর শ্রমিকলীগ, শেখ রাসেল মেমোরিয়াল সমাজকল্যাণ সংস্থাসহ আরও অনেকে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাত্রিতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে নিহত হয়, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ আবু নাসের, শেখ কামাল, বেগম সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, বেগম পারভিন জামাল, শেখ রাসেল, কর্নেল জামিল, আব্দুন নঈম খান, শেখ ফজলুল হক মণি, বেগম আরজু মণি, আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, বাবু সেরনিয়াবাত, শহিদ সেরনিয়াবাত, লক্ষীর মা, সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবুসহ আরও কয়েকজন।