শোক দিবস উপলক্ষে যুবলীগের নানা কর্মসূচি পালন
১৫ আগস্ট ২০২০ ১৭:১৮
ঢাকা: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। শনিবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটি।
সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এরপর ধানমন্ডি থেকে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক বনানী কবরস্থানে যান। সেখানে তারা বঙ্গমাতা ও জাতির পিতার পরিবারের সদস্য ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সেখানে তারা মোনাজাতে অংশ নেন।
এদিকে, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর শোকাবহ আগস্ট মাসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। বনানীর রাজউক মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এতে আরও অংশ নেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনসহ মহানগর ও ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।
এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং কেন্দ্রীয় অফিসে মিলাদ মাহফিল ও দুঃস্থ অসহায় মানুষের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ মহানগর ও ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে কেন্দ্রীয় যুবলীগের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও কাওরান বাজার পান্থকুঞ্জ পার্ক মাঠে অসহায়, দুঃস্থ, পথশিশু ও ভবঘুরে মানুষের মাঝেও রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচি ১৫তম দিনের মতো অব্যাহত আছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অসহায়, দুঃস্থ, পথশিশু ও ভবঘুরে মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হায়দার, যুবলীগের সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, যুবলীগের এস এম জাবেদ হোসেন লাভলু; সফিউল আলম প্রধান কমল,মেহেরুল হাসান সোহেল; মাহবুব আল গনি সোহেল, আজিজুর রহমান, ডাকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর, শেখ সালেহ উদ্দিন ড্যানিয়েল, জাহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, শাহনাজ করিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আকরাম হোসেন, ড. মোস্তাফিজার রহমান, ড. মো রায়হান সরকার রেজভী, ইব্রাহিম মিয়াসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্টের কালো জাতির পিতার সঙ্গেই নিহত হন আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও শিশুপৌত্র সুকান্ত বাবু;, নিকট আত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত ও রিন্টু।ধানমণ্ডির বাড়িতে পুলিশের বিশেষ শাখার সাব ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুর রহমান ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলকেও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।