শোষিত মানুষের বাসযোগ্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: নওফেল
১৫ আগস্ট ২০২০ ১৮:৫৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শোষিত মানুষের বাসযোগ্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় উপমন্ত্রী নওফেল এ আহ্বান জানান।
নওফেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন ভূখণ্ড দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমরা ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখতে পাবো, বঙ্গবন্ধু শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতা চাননি। তিনি সবসময় শোষিত মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী, আমাদের উচিৎ শোষিত মানুষের বাসযোগ্য রাষ্ট্র গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। শুধু ভৌগোলিক স্বাধীনতা নয়, আমাদের উচিৎ সাম্য-মৈত্রী- শান্তি ও প্রগতির জয়যাত্রা রচনায় কাজ করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সে আরাধ্য জয়যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা অবশ্যই উনার নেতৃত্বে সুন্দর আগামী প্রতিষ্ঠা করবই।’
একই সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতির কথা বলি, আমরা অনেকেই কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। এজন্য যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন তাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য যদি আমরা জানাতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশপ্রেম বর্জিত হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তিনি আমাদের হৃদয়ে চিরঞ্জীব আছেন। জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী।’
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বিএনপি সবসময় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সাথে আঁতাত করে এদেশে পাকিস্তানী চেতনা কায়েম করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। জিয়াউর রহমানের পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও একইপথে হেঁটেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এমন কোনো অপপ্রচার বাকি রাখেনি বিএনপি। শেষ পর্যন্ত জাতির কলঙ্কিত দিন ১৫ আগস্টকে খালেদা জিয়া বানিয়েছেন তার জন্মদিবস।’
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় দণ্ডিত যেসব আসামি বিদেশে পালিয়ে আছে, অব্যাহত ও জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। রায় কার্যকর করতে হবে। তবেই ইতিহাসে বাঙালি জাতি দায়মুক্ত হবে।’
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ বক্তব্য রাখেন। এসময় নগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, মোহাম্মদ শহীদুল আলম, জহরলাল হাজারী উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ
জাতির জনকের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, রক্তদান, রক্তের গ্রুপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে সংগঠনের কার্যালয়ের নিচে এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
রেজাউল করিম চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির অস্তিত্বের ওপর আঘাত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিনাশ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে দলের হাল ধরেন। দলকে সংগঠিত করে ২১ বছর পর ক্ষমতায় যান। খুনিদের রচিত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পথ সুগম করেন। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেন। কয়েকজন আসামির ফাঁসি হয়েছে। কয়েকজন এখনও বিদেশে পলাতক। তাদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে পারলে জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নাজমুল হাসান রুমি, নাঈম রনি, ইয়াসিন আরাফাত কচি, একরামুল হক রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি মির্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল আলম জিকু, খোরশেদ আলম মানিক এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাসানুল আলম সবুজ, আবুল মনসুর টিটু, ওসমান গণি বাপ্পী, মিয়া মোহাম্মদ জুলফিকার, আকতার হোসেন সৌরভ এবং পতেঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান হাবিব সেতু, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সায়েম, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হায়দার, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নুর নবী শাহেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান বাবু, আকবর শাহ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদ, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাকিব, সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ
শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু করে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ। এরপর চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ছাত্রলীগ। দুপুরে গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম মুজিবুল হক চৌধুরী। আরও ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সুব্রত বিকাশ বড়ুয়া।
এ ছাড়া শোক দিবসের আয়োজনে অন্যান্যের মধ্যে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম, জাবেদুল ইসলাম জিতু, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক খন্দকার নাইমুল আজম, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল কায়সার, অনিক চৌধুরী সোহেল, আমিনুর রহমান রিফাত, জাহিদ হাসান সাইমুন, জিয়াউদ্দীন আরমান, আবদুল্লাহ আল সাইমুন, মনির রিহান, ইমাম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল হালিম, অর্ণব দেব, সাফায়েত হোসেন রাজু, ওয়াহিদুর রহমান সুজন, জামশেদ উদ্দিন, শামীম নেওয়াজ, রিয়াজুল ইসলাম শান্ত, আজিজুল হাকিম মাসুম, মোস্তফা তারেক, শহীদুল ইসলাম, কায়েস মাহমুদ, আসাদ মাহমুদ শহীদ, সৈয়দ নাঈম, জোবায়েরুল ইসলাম, মুবিনুল হক সাব্বির, জিব্রানুল ইসলাম রুমি, মোহাম্মদ মামুন, মোহাম্মদ আনসার উদ্দীন ছিলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, দোয়া মাহফিল এবং এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার ও জসিম উদ্দিন শাহ, সদস্য বখতিয়ার সাঈদ ইরান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।