ঝিনাইদহে বেড়েছে প্লাস্টিকের ব্যবহার, হুমকির মুখে পরিবেশ
১৬ আগস্ট ২০২০ ১৫:০৭
ঝিনাইদহ: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঝিনাইদহে বেড়েছে প্লাস্টিকের গ্লাস ও প্লেটের ব্যবহার। প্লাস্টিকের এসব পণ্য ব্যবহার শেষে ফেলা হচ্ছে যেখানে সেখানে। এতে পরিবেশের ওপর মারাত্মক হুমকি পড়ছে। এ ছাড়া প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনার শুরু থেকে সংক্রমণ রোধে ঝিনাইদহ শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষ ব্যবহার শুরু করে প্লাস্টিকের গ্লাস ও প্লেট। হোটেল, রেস্তোরা ও চায়ের দোকানে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে এই পাত্রগুলো। ব্যবহার শেষে সেগুলো ফেলা হচ্ছে পাশের পুকুর, ডোবা, ড্রেন কিংবা রাস্তার পাশে। ফলে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতারা ওয়ানটাইম পাত্র ছাড়া খাবার খেতে চান না। অতিরিক্ত খরচ হলেও এসব পাত্রে খাবার পরিবেশন করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। তবে ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় যেখানে সেখানে ফেলতে হচ্ছে প্লাস্টিক পণ্যগুলো।
ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকার চা দোকানি মানিক মিয়া বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে ওয়ানটাইম গ্লাস ব্যবহার বেড়েছে। আগে চায়ের কাপে দিতাম। এখন অনেকেই কাপ ব্যবহার করছেন না। বাধ্য হয়ে ওয়ান টাইম গ্লাস ব্যবহার করতে হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার এক চা দোকানি বলেন, ওয়ান টাইম গ্লাস ব্যবহারের পর ক্রেতারা যেখানে সেখানে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন। নির্ধারিত পাত্র রাখলেও তা ব্যবহার করছেন না অনেকে। আরাপপুর এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর যখন হোটেল চালু হলো তখন থেকেই ওয়ানটাইম প্লেটে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় পাশের গর্তে ফেলতে হচ্ছে।
প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহারের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশবিদ সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করা হলে এগুলো জমে পরিবেশের ওর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এক্ষেত্রে পৌরসভা, বাজার কমিটির ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ওয়ানটাইম গ্লাস ও প্লেট ব্যবহার উপকারি হলেও এর ব্যবস্থাপনা সঠিক না হওয়ার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিবেশ দূষণ রোধে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।