Saturday 26 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘৭৫-এর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হরণ করা হয়’


১৬ আগস্ট ২০২০ ২১:৩৯ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২০ ২২:০৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি [ফাইল ছবি]

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের চরিত্র হরণ করা হয়েছিল। পরের প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে না পারে সেজন্য কয়েক দশক ধরে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছিল।

রোববার (১৬ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বুয়েট উপাচার্য প্রফেসর সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের ৩০ শতাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। সেই মহান নেতাকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে জনগণের টাকায় বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে নিযুক্ত করা হয়।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যে সমস্ত সহচর ষড়যন্ত্রকারীদের প্রলোভনের ফাঁদে পা দেননি তাদের ওপর চালানো হয়েছিল নিষ্ঠুর নির্যাতন। সেনাবাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা শূন্য করার জন্য সামরিক ট্রাইব্যুনালের নামে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল মানব সভ্যতার অন্যতম দলিল ৭ই মার্চের ভাষণ। যে ভাষণকে ইউনেস্কো মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।’

এ সময় দীপু মনি জনগণের অর্থে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাড়ি দেওয়ারও সমালোচনা করেন।

আলোচনা সভায় মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও প্রকৌশলী শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আইনে স্বায়ত্ত শাসন দিয়েছিলেন।’

তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জনগণের অর্থে বুয়েট বর্তমানে একটি এলিট ইনস্টিটিউশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে।’

ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বঙ্গবন্ধু বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে অবদান রাখার জন্য তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান। আলোচনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা যুক্ত ছিলেন।

ফাইল ছবি

জাতির জনক ডা. দীপু মনি পঁচাত্তর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষামন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর