চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীকে ‘ক্রসফায়ারে হত্যা’, ওসি’র বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চাঁদা দিতে না পারায় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে ওমান ফেরত এক প্রবাসীকে তুলে কক্সবাজারে নিয়ে ‘ক্রসফায়ারে হত্যা‘র অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ও হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার (১৬ আগস্ট) কথিত ক্রসফায়ারে নিহত মোহাম্মদ জাফরের মামা আহমদ নবী বাদী হয়ে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদির আইনজীবী নুর মিয়া জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন— চকরিয়া থানার ওসি হাবিববুর রহমান ও চকরিয়া উপজেলার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম। অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মৃত মোহাম্মদ জাফর পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের কথামোজা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেছেন, জাফর দীর্ঘদিন ধরে ওমানে ছিলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগে তিনি দেশে ফেরেন, কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ায় আর ওমানে যেতে পারেননি। গত ২৯ জুলাই রাতে সাদা পোশাকধারী কিছু লোক এসে জাফরকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর চকরিয়া থানার এসআই আমিনুল ফোন করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় ৩১ জুলাই তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়।

বাদীর আইনজীবী নুর মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ’৫০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে জাফরকে ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলা গ্রহণ করেছেন এবং সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য কয়েকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান।

এসআই আমিনুল ইসলাম ওসি হাবিবুর রহমান ক্রসফায়ার ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগ চকরিয়া থানা চাঁদা দাবি টপ নিউজ হারবাং পুলিশ ফাঁড়ি