Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জলাবদ্ধতা: সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দুষলেন চসিক প্রশাসক


১৮ আগস্ট ২০২০ ১৮:৫৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে জলজটের উৎস খুঁজতে বৃষ্টির মধ্যে প্রায় আড়াই কিলোমিটার হাঁটলেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এসময় তিনি জলাবদ্ধতা ও যানজটের জন্য নগরীর সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন।

টানা বৃষ্টিতে সোমবার (১৭ আগস্ট) নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। হাসপাতাল, বাসাবাড়ি, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মঙ্গলবার সকালেও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলজট তৈরি হয়।

জলজটপ্রবণ এলাকা নগরীর কাপাসগোলা, বাদুরতলা থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত এলাকা মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখেন প্রশাসক সুজন। এসময় তিনি বিভিন্ন খাল-নালায় ময়লা-আবর্জনা আটকে থাকায় পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টির বিষয়টি দেখেন।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত সাংবাদিক এবং এলাকার লোকজনের উদ্দেশে সুজন বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের সেবকরা দিন-রাত পরিশ্রম করে বাসায়-বাসায় গিয়ে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করেন। এরপরও অনেকে অসচেতনভাবে রাস্তা, ড্রেন এবং খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলেন। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। বৃষ্টি হলে জলজট হয় এবং আমাদের সবাইকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। কিন্তু আমরা যদি সামান্য একটু সচেতন হই, তাহলে এই বিড়মন্বনা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।’

সেবাসংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে অনেক সেবাসংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। সিডিএ, ওয়াসা, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পিডিবি আছে। সবাই কাজ করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে- এসব সেবাসংস্থার মধ্যে কোনো ধরনের সমন্বয় নেই। এই সমন্বয়হীনতার কারণেই নগরবাসীকে জলজট ও যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’

‘চট্টগ্রাম নগরীতে যে সংস্থাই উন্নয়ন কাজ করুক না কেন, যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে হবে। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি হলে বরদাশত করা হবে না। আমি বারবার বলে যাচ্ছি, নগর উন্নয়নে সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই।’

পরিদর্শনের সময় প্রশাসক সুজন কাপাসগোলা থেকে ‍মুরাদপুর পর্যন্ত এলাকায় কয়েকটি স্থানে অবৈধ স্ল্যাব বসিয়ে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরির বিষয়টি দেখেন। তিনি স্ল্যাবগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন। এছাড়া খালে বর্জ্যের স্তূপ দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নির্দেশ দেন।

এসময় প্রশাসকের সঙ্গে একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও মোরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর