সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে দ্বিতীয় দফা বরাদ্দ ছাড়
২০ আগস্ট ২০২০ ১৯:৫৩
ঢাকা: সাগরে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে জেলেদের সহায়তার জন্য আরও ১১ হাজার ৯০৩.৫৮ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের সহায়তা দিতে এই বরাদ্দ রাখা হয়। যার দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় দেওয়া হচ্ছে। উপকূলীয় ১২ জেলার প্রতি জেলে পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।
বৃহস্পতিবার ( ২০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশের সামদ্রিক জলসীমায় গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এই সময়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দ্বিতীয় কিস্তিতে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে মোট ১১ হাজার ৯০৩.৫৮ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় ১২ জেলার ৫১ উপজেলার এবং চট্টগ্রাম মহানগরীসহ সমুদ্রে মাছ ধরা বিরত থাকা ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৬ টি জেলে পরিবারের মাঝে এসব বিতরণ করা হবে।
এই বরাদ্দ খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালীর ও ভোলা জেলায় দেওয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী এই বরাদ্দের চাল জেলা প্রশাসকরা বিতরণ করবেন। তারা বরাদ্দ হাতে পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে তা উপ বরাদ্দে দেবেন এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপ বরাদ্দ পাওয়ার পর তা পাঁচ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মধ্যে ছাড়পত্র দেবেন এবং বিতরণ সূচি তৈরি করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। আর জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ চাল বরাদ্দের বিষয় সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যকে অবহিত করবেন।
বরাদ্দের চাল জেলা প্রশাসকরা কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে যথানিয়মে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তোলন ও বিতরণ শেষ করতে বলা হয়েছে আদেশে। পাশাপাশি নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। ভিজিএফ চাল বিতরণকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বা তার প্রতিনিধি এবং ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। কার্ডধারী এবং সমুদ্রগামী জেলে ছাড়া অন্য কাউকে ভিজিএফ চাল দেওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয় আদেশে।