জাপানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার শহিদদের স্মরণ
২১ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫৪
ঢাকা: ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সভায় নারকীয় গ্রেনেড হামলায় শহিদ ও সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে আজও যারা বেঁচে আছেন, তাদের সবাইকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
টোকিও মিশন থেকে প্রথম সচিব মুহা. শিপলু জামান জানান, শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেলে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ নিহত ২৪ জন শহিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া সেদিনের বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া কিন্তু আহত প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর সুস্থতা ও আরোগ্য লাভের জন্যও দোয়া করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার এবং দূতালয় প্রধান ড. জিয়াউল আবেদীন এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. আরিফুল হক।
পরে এক আলোচনায় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারকে হত্যা করে। এরই ধারাবাহিকতায় একই বছর ৩ নভেম্বর জেলখানায় অন্তরীণ থাকা অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকেও তারা হত্যা করে।
তবে হত্যাকারীরা সেখানেই ক্ষান্ত হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেদিন ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা, যার অবস্থান সবসময় সন্ত্রাস, জঙ্গি কার্যক্রম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং বাংলার গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের পক্ষে। তাকে নিশ্চিহ্ন করার ঘৃণ্য প্রয়াস নিয়ে এবং স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে সেদিন ঘাতক চক্র এই নির্মম ও নির্লজ্জ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ, সচেতন ও সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান চার্জ দ্য অ্যাফায়ারস ড. শাহিদা।