সবজির বাজার চড়া, দাম বেড়েছে চাল-পেঁয়াজ-মরিচের
২১ আগস্ট ২০২০ ১৮:১২
ঢাকা: বন্যার প্রভাবে বাজারে সব ধরণের সবজির দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। কেজিতে সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর কাঁচামরিচের দাম আবারও সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কেজিতে উঠেছে। পাইকারি বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এছাড়া চালের বাজারও বাড়তির দিকে রয়েছে। তবে মাংসের মধ্যে কমেছে মুরগির দাম।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) কারওয়ানবাজারসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কারওয়ানবাজারে বেগুন ৬০ টাকা , ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা ও গাজর ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা সাহাদাত সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবজির দাম দুই সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলছে। বন্যার কারণে সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।’
আর মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেঁরশ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা ও করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এই বাজারে শশা ৩০ থেকে ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা হালিতে।
এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, রসুন ৮০ টাকা ও আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বন্যার কারণে সব সবজির দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। সাধারণ সময়ের চেয়ে কোনো কোনো সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি। আর কাঁচামরিচও এখন ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।’
এদিকে, কারওয়ানবাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতা রহিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুই দিন ধরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ২২ টাকা ছিল, এখন ২৮ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা ছিল এখন ৩৮ টাকা।’
ময়না নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তবে রসুন ও আদার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। পাইকারি বাজারে রসুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা ও আদা ১৪০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।’
এছাড়া বাজারে চালের দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। কম দামির মধ্যে বাজারে স্বর্ণা চাল নেই বললেই চলে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৫ টাকা, আটাশ ৪৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম পড়ছে ২৬০০ টাকা, আটাশ ২২০০ টাকা ও নাজিরশাইল ২৮০০ থেকে ২৯০০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকান মের্সাস হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। বস্তাতে চালের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।’
এদিকে, কারওয়ানবাজারে গরু ৬০০ ও খাশি ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৫০ টাকা ও সাদা কক ২৩০ ও দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার ১০ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ৩০ টাকা ও দেশি মুরগি কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে।