করোনাকে স্বাভাবিক রোগ হিসেবে নিয়ে চিকিৎসার আওতায় আনার পরামর্শ
২২ আগস্ট ২০২০ ২৩:৪২
ঢাকা: করোনাকে স্বাভাবিক রোগ হিসেবে নিয়ে চিকিৎসার আওতায় আনাতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।
শনিবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত ‘কোভিড-১৯: দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বাংলাদেশ কি প্রস্তুত’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এই মত দেন।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক পরামর্শক ডা. এম মুজাহেরুল হক, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরামর্শক ডা. মো. মুশতাক হোসেন এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. জিয়াউদ্দিন হায়দার। ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম’ নিয়মিতভাবে সাপ্তাহিক এই আয়োজন করে।
‘ফার্স্ট ওয়েভ’ আমাদের চলছে, কতদিন চলবে সেটা জানা নেই জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক পরামর্শক ডা. এম মুজাহেরুল হক বলেন, ‘করোনা এখন একটা জায়গায় ওঠানামা করছে নমুনা পরীক্ষা সেভাবে না হওয়ার জন্য। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় কোনো কৌশল আমি দেখতে পাইনি। করোনা মোকাবিলায় সমন্বয়হীনতা সবার নজরে পড়েছে। জনগণের যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা উচিত এবং জনগণকে যেভাবে মানানো উচিত সেই সমন্বয় হচ্ছে না।’ আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণকে বাধ্য করার চেষ্টা তাতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আবার দেশে একটানা সংক্রমণ হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, “সেকেন্ড ওয়েভ আসার আগে একটি শর্ত প্রথম ওয়েভটাকে কার্যকরভাবে কমিয়ে আনা কিন্তু বাংলাদেশ প্রথম ওয়েভ নিয়ন্ত্রণ করার কাছাকাছিও নেই। এমনিতেই অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকে সরকারি হাসপাতালে যায় না আবার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বেশি-তাই করোনাকে ‘স্বাভাবিক রোগ’ হিসেবে নিয়ে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এই ধারা চলতে থাকলে সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।”
দেশে করোনা মোকাবিলাতে পরিকল্পনা হয়েছে একটা কিন্তু কাজ হয়েছে আরেকটা মন্তব্য করেছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল যখন মহামারির চতুর্থ স্তরে যাব, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হবে তখন সোস্যাল ডিসটেন্সিং করা হবে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার যারা কাজ করেছেন জানুয়ারি থেকে তাদের পরিশ্রম ম্লান হয়েছে জেকেজি ও রিজেন্টের দুর্নীতির কারণে।’