কৃষি খাতকে আধুনিক করে বাণিজ্যে নিয়ে যেতে চায় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
২৩ আগস্ট ২০২০ ১৫:৪৪
ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ করা। সেজন্য কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর ভারত এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে আছে। সেজন্য, এসব ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন।
রবিবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাশ ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের মধ্যে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে একসময় কৃষিখাত কম উৎপাদনশীল ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু কৃষি এখনো যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এসময় কৃষিমন্ত্রী এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতিতেও কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। দুদেশই কৃষিপ্রধান। আমরা দ্রুত শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছি। সেটি করতে হলে অভ্যন্তরীণ বাজার বড় করতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা ও উন্নত করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাজার বাড়াতে হবে। সেজন্য, শুধু কৃষিতে নয়, শিল্পায়ন, সার্ভিস সেক্টরসহ অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে দুদেশের সহযোগিতা করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র উল্লেখ করে বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, এগ্রো প্রসেসিং, ডেইরি, কৃষি প্রকৌশল এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দুদেশের সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এসময় তিনি এসব বিষয়সহ কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
সৌজন্য বৈঠকে কৃষি, প্রাণিসম্পদ, কৃষি প্রকৌশল এবং ডেইরি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব মো:নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।