ঢাকা: দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানির চিন্তা করছে সরকার। সে উদ্দেশে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চা বাগানের সংখ্যা বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৩ আগস্ট) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সরকারি বাসভবনে চা শিল্পের উন্নয়ন শীর্ষক এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে চায়ের চাহিদা বাড়ছে। বিদেশেও বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানি বৃদ্ধি করতে হবে। একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি পণ্য ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের রিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।’
চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উৎপাদনে মালিকদের আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দেশে চা বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার উন্নয়নের পথনকশা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন চলছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী টি বোর্ডের ‘উন্নয়নের পথনকশা’ বাস্তবায়নে চা বাগান মালিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। চা শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা বাগানের মালিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দিন দিন চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। সে কারণে প্রত্যাশিত রফতানি বাড়ছে না।’
বাংলাদেশ টি এ্যাসোসিয়েশনের উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী এবিষয়ে আন্তরিকার সাথে সবধরনের সহযোতিা করার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, দেশে ২ লাখ ৭৮ হাজার ১৪১.৬৯ একর জমিতে ১৬৭টি চা বাগানে ২০১৯ সালে ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এসময় অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা ছিল ৯৫.২০ মিলিয়ন কেজি।