Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জিয়া ও খালেদা দুজনই হত্যার রাজনীতির পথে হেঁটেছেন’


২৪ আগস্ট ২০২০ ২২:১৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া দুজনই হত্যার রাজনীতির পথে হেঁটেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে’ আওয়ামী হকার্স লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই তথ্যমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট শহীদ জাতির পিতা, তার পরিবারের সদস্য এবং ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

বিজ্ঞাপন

‘১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের হত্যাকাণ্ড দুটি একই সূত্রে গাঁথা’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। একইভাবে ২০০৪ সালেও যারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল তারাই তাকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করেছিল।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করে দেখুন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, শেখ ফজলুল হক মণি, শেখ আবু নাছের এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবাত যিনি বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন তাকেও হত্যা করা হয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা, দেশকে আবার পরাধীনতার দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকে সেদিন হত্যা করা হয়েছে। এবং এই হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব ছিল খন্দকার মোশতাক এবং জিয়াউর রহমান।

বিজ্ঞাপন

‘আর ২১শে আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব, পরিকল্পনাকারী ও পরিচালনাকারী জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক রহমান। অর্থাৎ দুই হত্যাকাণ্ডেই একই পরিবার যুক্ত। এবং আজকে এই কথাগুলো দিবালোকের মতো সত্য’- বলেন ড. হাছান।

তিনি বলেন, ‘২১শে আগস্টের হত্যাকাণ্ডের জন্য তারেক রহমানের বিচার হয়েছে, যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া তো তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বেগম জিয়ার জ্ঞাতসারে, অনুমোদনে তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। এজন্য আজকে যখন দাবি উঠেছে, বেগম খালেদা জিয়াকেও হুকুমের আসামি হিসেবে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন, তখন বিএনপির নেতারা আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে। তাদের একটি বক্তব্য হচ্ছে যে, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নাকি ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল! এই কথা শুনে পাগলও হাসে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেমন হত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম কুশীলব ছিলেন- সেই পথ থেকে বেগম খালেদা জিয়াও ফিরে আসতে পারেনি। খালেদা জিয়াও তার ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক ও চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যেই ২১শে আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার পুত্রের মাধ্যমে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করেছিলেন। এটিই হচ্ছে বাস্তবতা।’

বাংলাদেশ আওয়ামী হকার্স লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জাকারিয়া হানিফের সভাপতিত্বে, কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহেদ আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, বিশেষ বক্তা হিসেবে আওয়ামী হকার্স লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. শাহিন আহমেদ ও মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়া জিয়াউর রহমান ড. হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রী হত্যার রাজনীতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর