রশিতে বেঁধে মা-মেয়েকে নির্যাতন, মামলা লড়বে মানবাধিকার কমিশন
২৪ আগস্ট ২০২০ ২৩:৫৮
ঢাকা: কক্সবাজারের চকরিয়াতে গরু চোর অপবাদ দিয়ে মা ও মেয়েকে কোমড়ে রশি বেঁধে সড়কে ঘোরানোর ঘটনায় মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই ঘটনায় চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাই ভুক্তভোগী মা ও মেয়ের পক্ষে আইনি লড়াই চালানোর সিদ্ধান্তও জানিয়েছে সংস্থাটি। এ জন্য একজনস প্যানেল আইনজীবীকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, “‘চোর’ অপবাদে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে ঘোরানো হয় প্রকাশ্য সড়কে” শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলছেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মা-মেয়ের মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। এতে কেবল দু’জন নারীর অপমান হয়েছে, তা নয়। এতে গোটা মানবজাতির অবমাননা হয়েছে। কোনো মানুষকে এভাবে প্রকাশ্যে ঘোরানোর এখতিয়ার কোনো আইনে কাউকে দেওয়া হয়নি।
মানবাধিকার কমিশন বলছে, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে আদালতের মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন হবে। কিন্তু কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পরই ২৩ আগস্ট ঘটনার বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনকে অবহিত করার জন্য কক্সবাজারের পুলিশ সুপার বরাবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী মা-মেয়ের পক্ষে মামলা লড়ার জন্য কমিশনের প্যানেল আইনজীবী আ জ ম মাইনুদ্দিনকে নিয়োগ দেয় কমিশন। তিনি তাদের জামিনের ব্যবস্থা করেছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, কক্সবাজারের চকরিয়ার এক নারী ও তার মেয়েকে ‘গরু চোর’ আখ্যা দিয়ে একদল দুর্বৃত্ত নির্মমভাবে পিটিয়েছে। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দেখা যায়, কোমরে রশি বেঁধে দুই নারীকে প্রকাশ্য সড়কে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একপর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পুলিশ মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
আইনি লড়াই চকরিয়া মা-মেয়েকে নির্যাতন মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘন