পানিবন্দি উপকূলীয় লাখো পরিবার, সমাধানে বৈঠক আজ
২৫ আগস্ট ২০২০ ১০:১৮
ঢাকা: টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, পুকুর সব এখন জলের নিচে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। গৃহপালিত প্রাণিদের নিয়ে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন কেউ কেউ। ‘বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে’র তথ্য অনুযায়ী উপকূলীয় জেলাগুলোতে বন্যায় এক লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকালে সচিবালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ওই বৈঠকে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয়, বন্যা পরবর্তী পূনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া এবং তা বাস্তবায়নসহ বিস্তারিত আলোচনা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই দুর্যোগে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি মেরামত, কিছু রাস্তাঘাট সাময়িক মেরামত, বাঁধ মেরামতের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার থেকে আবারও বৃষ্টি বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়ার গতিও বেড়ে যেতে পারে। দমকা বাতাস আর ভারী বৃষ্টির আশংকার পাশাপাশি বেশি উচ্চতার জোয়ারে আবারো উপকূল প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের রেশ কাটতে কাটতেই আরেক দফা লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সকল নদ- নদী বন্দরে এক নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জেলার উপকূলীয় এলাকা ও দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলে সর্তকতায় বলা হয়েছে।