রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে জমির নামজারি করে দেওয়ার কথা বলে সেবা গ্রহীতার কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগে মো. সুজন শেখ (৩০) নামে এক মোহরারকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান। এ সময় অবৈধভাবে নেওয়া ২০ হাজার টাকা গ্রহীতাকে ফেরত দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত সুজন রাজবাড়ী সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরার এবং সদর উপজেলার আহলাদিপুর এলাকার মৃত লিয়াকত আলী শেখের ছেলে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘বসন্তপুর এলাকার দেওয়ান মো. সেকেন্দার আলী নামে এক সেবা গ্রহীতা দুপুরে আমার অফিসে এসে জানান পাঁচ মাস আগে তিনি জমির নামজারির চারটি আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার নামজারির কাজটি সম্পন্ন হয়নি। তখন আমি অনুসন্ধান করে দেখি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথাযথ কাগজপত্র দাখিল করতে না পারায় তার নামজারির আবেদন না মঞ্জুর করা হয়েছে। আমি সেবা গ্রহীতাকে জিজ্ঞেস করি অফিসের বা তহসিল অফিসের কেউ আপনাকে এ ব্যাপারে হয়রানি করেছে কি না? সেসময় তিনি আমাকে জানান নামজারি করার জন্য তিনি সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরার সুজনকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। ওইসময় সুজন অফিসের বাইরে ছিলেন। আমি তাৎক্ষণিকভাবে সুজনকে ডেকে আনি এবং টাকা নেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করি। এসময় তিনি নামজারির কথা বলে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেবা গ্রহীতা সেকেন্দার আলীর কাছ থেকে নেওয়া ২০ হাজার টাকা তাকে ফেরত দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সুজনকে সতর্ক করা হয় ভবিষ্যতে তিনি যেন আর এই ধরণের অপকর্ম না করেন।’
আরিফুর রহমান আরও জানান, তার অফিসে জমির নামজারিসহ জমি সংক্রান্ত যে কোন সুবিধা পেতে সরকারি ফি এর বাইরে অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হয় না। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি উপজেলা ভূমি অফিসের সেবা গ্রহীতাদের হয়রানিমুক্ত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বতর্মানে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের চিত্র অনেক ভিন্ন। যথাযথ কাগজসহ আবেদন করে শুনানির সময় উপস্থিত হলে সরকারি ফি দিয়েই সেবা পাওয়া যাচ্ছে। তবে মানুষ সচেতনতার অভাবের কারণে ভুল লোকের খপ্পড়ে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানান তিনি।