নতুন উপাচার্যের অপেক্ষায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
২৬ আগস্ট ২০২০ ১০:২৯
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন উপাচার্যের অপেক্ষায় এখন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি)। এরই মধ্যে উপাচার্য পদ থেকে তিনি ফিরে গেছেন কৃষি বোটানি বিভাগে। একই দিনেই উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগের মেয়াদও শেষ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট নিয়োগ দেন অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদকে। আলাদা এক আদেশে একই দিনেই নিয়োগপ্রাপ্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ। তাই একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। তবে এখনো এসব পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে শেকৃবি রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদগুলো ফাঁকাই থাকবে। তবে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’ উপাচার্য পদে দক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মানসিকতাসম্পন্ন কাউকে দেখতে চান এই কর্মকর্তা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য পদে কে আসছেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গড়ে ওঠা সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ‘সাউ ফ্যামিলি’তেও নতুন উপাচার্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা নিয়ে দেখা যাচ্ছে নানা মত।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকেই বলছেন, দেশের অন্যতম প্রবীণ শিক্ষা কেন্দ্র হলেও তুলনামূলকভাবে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারেনি শেকৃবি। তাই নতুন উপাচার্য হিসেবে তারা এমন একজনকে চান যিনি গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
সদ্য সাবেক হয়ে পড়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ অবশ্য নিজেকে সফল বলে দাবি করেন। বিভিন্ন সময় তিনি এ কথা বলেছেন। সবশেষ এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুবই মেধাবী। তারা পড়ালেখায় খুবই আগ্রহী। এই ক্যাম্পাসে একদিনও হরতাল হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীরা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছে। এটি আমার জন্য আনন্দের বিষয়। আমার মেয়াদে নতুন হল, টিএসসি ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে।
নতুন উপাচার্য আসা পর্যন্ত সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক কামাল বলেন, আউটকাম বেইজড কোর্স কারিকুলাম করতে পেরেছি। এখন এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। ছাত্র ইউনিয়নের টাকার লভ্যাংশকে কাজে লাগিয়ে একটি নতুন বৃত্তি চালু হতে যাচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান যে গতিশীলতা, সেটিতে অব্যাহত রাখতে পারলেই শেকৃবি আরও এগিয়ে যাবে।
অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ উপউপাচার্য উপাচার্য কোষাধ্যক্ষ মেয়াদ শেকৃবি