Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নতুন আইন ‘হঠকারী’— নোট অব ডিসেন্ট মাহবুব তালুকদারের


২৬ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫৮

ঢাকা: রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনকে ‘হঠকারী’ অভিহিত করে এই আইনের বিরোধিতা করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এরই মধ্যে এই আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করে তিনি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ‘নোট অব ডিসেন্ট’ও দিয়েছেন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি আগেও বলেছি, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ একটি ঐতিহাসিক আইনি দলিল, যা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার অনন্য স্মারক। নির্বাচন কমিশনের নতুন আইনের প্রস্তাব গৃহীত হলে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর অঙ্গহানি ঘটবে। এতে করে এই আদেশকে বিকলাঙ্গ মনে হবে।

বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মাহবুব তালুকদার নিজেই। এসময় তিনি জানান, ইসির ৭০ তম কমিশন সভায় ভিন্নমত পোষণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও চার নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তিনি ‌‍‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন।

‘নোট অব ডিসেন্ট’ মাহবুব তালুকদারের জন্য নতুন কিছু নয়। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর একাধিক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন তিনি।

বুধবার মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর ষষ্ঠ অধ্যায়টি কর্তন করে ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০’ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করি। আরপিও থেকে একটি অংশ নিয়ে আলাদাভাবে আইন প্রণয়ন করলে সেটি হবে হঠকারী সিদ্ধান্ত।

নির্বাচন কমিশনের এই কমিশনার বলেন, প্রস্তাবিত ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০’-এর শুরুর অংশে ‘সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন’ ইত্যাদি পরিবর্তন বিষয়ে আমি একমত নই। এতে সংজ্ঞা পরিবর্তন করে নতুন যে পদ-পদবী প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আমার কাছে অনাবশ্যক মনে হয়। রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে যে ৫০টি মতামত পাওয়া গেছে, তাতে এসব পদ-পদবী পরিবর্তনের বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। কী কারণে বা কোন যুক্তিতে এই পরিবর্তন প্রয়োজন, তা আমার বোধগম্য নয়। প্রয়োজন মনে হলে বাহাত্তরের আরপিও সংশোধন করা যেতে পারে, যা আগেও করা হয়েছে। আমি মনে করি, আইনের পরিবর্তন আইন কমিশনের কাছে ন্যস্ত থাকাই সমীচীন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, আজকের (বুধবার) সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ৬৩তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০’-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়। এই আইন সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনায় নির্বাচন কমিশনে নানারূপ মতদ্বৈততা ছিল। আইনটি মতামত যাচাইয়ের আগে অধিকতর যাচাই বাছাই ও এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনে আরও আলোচনার প্রয়োজন ছিল। দেশের অন্যতম বড় দুইটি রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য দলও এই আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০’ সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করে আমি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছি।

আইন প্রণয়নের বিরোধিতা আরপিও ১৯৭২ ইসি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ টপ নিউজ নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সিইসি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর