ঢাকা: চলতি বোরো মৌসুমে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের নির্ধারিত সময় শেষ হচ্ছে ৩১ আগস্ট। এই সময়ের মধ্যে ধান এবং সিদ্ধ ও আতপচাল মিলিয়ে মোট ২০ লাখ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু সময় শেষ হয়ে এলেও এক তৃতীয়াংশ খাদ্যশস্যও সংগ্রহ করতে পারেনি চালকল মালিকরা। এই পরিস্থিতিতে দেশের চালকল ও ব্যবসায়ীদের কাছে কি পরিমাণ ধান, চাল ও গম মজুদ আছে সেই তথ্য জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সুত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনা পেয়ে গত ১৯ আগস্ট চালকল ও ব্যবসায়ীদের কাছে মজুদের পরিমাণ জানার উদ্দেশে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য অধিদফতরকে চিঠি পাঠায়। এসব তথ্য পাঁচ দিনের মধ্যে জানাতে সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদেরকে গত ২৪ আগস্ট চিঠি দিয়েছে খাদ্য অধিদফতর।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সরকার নির্ধারিত দামে মিল মালিকরা চাল সরবরাহ না করায় এই পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী চাল আমদানিতে অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, এবার ধান চাল সংগ্রহে মোট ২০ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের কথা ছিল। কিন্তু খাদ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, গত ১৮ আগস্ট পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত ৮ লাখ টন বোরো ধান কেনার কথা থাকলেও মাত্র ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪২৩ মেট্রিক টন সংগ্রহ হয়েছে। ১০ লাখ টন বোরো সিদ্ধ চালের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৬৭ মেট্রিক টন। আর দেড় লাখ টন বোরো আতপ চালের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ৬৭ হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন।
এদিকে সরকারি গুদামে বর্তমানে ১৩ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন গম।