Sunday 06 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় মিয়ানমারে স্কুল বন্ধের নির্দেশ


২৭ আগস্ট ২০২০ ১৩:৪৯ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২০ ১৬:২৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ডের পর দেশের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমার। খবর রয়টার্স।

এ ব্যাপারে দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব বেসিক এডুকেশনের মহাপরিচালক কো লেই উয়িন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন – বৃহস্পতিবার থেকে সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংক্রমণ বাড়ার কারণে কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, বুধবার (২৬ আগস্ট) দেশটিতে নতুন করে ৭০ জন কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ হন।

তারও আগে, স্থানীয়ভাবে নিশ্চিত সংক্রমণের কোনো ঘটনা ছাড়াই কয়েক সপ্তাহ পার করেছিল মিয়ানমার। কিন্তু, আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, নতুন করে শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা। নয়টি পৃথক এলাকায় তাদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এদের সবার সঙ্গেই রাজ্যের রাজধানী সিত্তেতে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণের সম্পর্ক আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মুখে গত সপ্তাহে সিত্তে বন্দর লকডাউনের পাশাপাশি কারফিউও জারি করা হয়েছিল।

বুধবার (২৬ আগস্ট) রাখাইনের বাইরে একমাত্র রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে। ওই ব্যক্তি ভ্রমণে যাওয়ার জন্য চিকিৎসা ছাড়পত্র পেতে পরীক্ষা করার পর তার দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

অন্যদিকে, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় মিয়ানমারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে কম। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা মাত্র ৫৭৪ জন আর মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের।

কিন্তু, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ রোগী বৃদ্ধির কারণে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

গত সপ্তাহের প্রথমদিকে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত যে ১৭৯ জন রোগী পাওয়া গেছে তারা মিউটেশনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আরও সংক্রামক হয়ে ওঠা করোনাভাইরাসে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে মিয়ানমার মার্চের শেষ দিক থেকে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু বিদেশে থাকা নাগরিকরা দেশটিতে ফিরতে পারছেন, কিন্তু দেশে ফেরার পর তাদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেনটাইনে থাকতে হচ্ছে।

পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো জাতিগত সহিংসতার পর থেকে সিত্তের কিছু ক্যাম্পে তাদের অনেককেই একসঙ্গে রাখা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য-সেবা এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থাও অপ্রতুল। তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস মিয়ানমার রাখাইন সিত্তে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর