চীনের সিনোভ্যাককে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি
২৭ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫৬
ঢাকা: চীনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাককে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে সরকার। আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় এই ট্রায়াল হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত যারা স্বেচ্ছায় আসবে তাদের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন সিনোভ্যাক ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগে এগুলো আসবে না।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এর বাইরেও ভ্যাকসিন নিয়ে যেসব দেশ কাজ করছে তাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। চীন যেহেতু সবার আগে প্রস্তাব দিয়েছে তাই তাদের সবার আগে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। চীনের এই কোম্পানি যখনই কাজ শুরু করবে, আমরা তখনই ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ট্রায়াল করতে চায়। আর এজন্য লাখ লাখ ইউনিট ফ্রি দেবে তারা। তবে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন পেতে অগ্রাধিকার পাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে তাদের।’ যারা স্বেচ্ছায় আসবে তারা শরীরে চীনের সিনোভ্যাক ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘যে ভ্যাকসিন আগে আসবে সেটাই আমরা আগে নেব। স্বেচ্ছাসেবক যত পাওয়া যাবে তার ওপর সংখ্যা নির্ধারিত হবে। ভারত অনুমতি চাইলে তাদেরও ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হবে।’
ডিসেম্বর-জানুয়ারি আগে ভ্যাকসিন আসবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আগামী বছরের মে-জুন নাগাদ সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে। ভ্যাকসিনের জন্য বাংলাদেশের বেক্সিমকো, বিকনসহ দেশি কোম্পানিগুলো আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, চীনের যে দুইটি প্রতিষ্ঠান করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে যেতে পেরেছে তার একটি সিনোভ্যাক। বাংলাদেশে বড় আকারের পরীক্ষা চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ১৯ জুলাই এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়ালের জন্য নৈতিক অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। এরপর আইসিডিডিআরবি-তে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর কথা ছিল। এমনকি ঢাকার চীনা রাষ্ট্রদূত এই ট্রায়ালে টিকা গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হতে চেয়েছিলেন। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।