Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতায় জনদুর্ভোগ, দোষ পড়ছে চসিকের’


২৯ আগস্ট ২০২০ ১৮:০০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ সড়কের বিধ্বস্ত অবস্থার জন্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তাদের অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের দায় সিটি করপোরেশনের ঘাড়ে এসে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার (২৯ আগস্ট) চসিকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ছুটির দিনে শুক্রবার বিকেলে চসিক প্রশাসক বন্দরনগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোর্ট কানেক্টিং রোড পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি এই সড়কে চলমান উন্নয়ন কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা এবং নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যেই শেষ করার জন্য প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এছাড়া নগরীর সব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক জরুরি ভিত্তিতে মেরামতেরও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এসময় এলাকাবাসীর উদ্দেশে চসিক প্রশাসক বলেন, ‘এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, চট্টগ্রাম শহরের অনেক সড়কই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে- এতে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। সড়কের বিধ্বস্ত রূপের প্রধান কারণ হচ্ছে-নগরীতে যেসব সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সেবা সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়হীনতার অভাব। দেখা গেছে ওয়াসা, গ্যাস, সিডিএ, বিটিসিএলসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলো তাদের প্রকল্প কখন শুরু করবে এবং কখন শেষ করবে- সে ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নেই।’

‘এও দেখা গেছে যে, নির্ধারিত স্থানে একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। অথচ একই স্থানে আরেকটি পৃথক প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড কেন, এটা সিটি করপোরেশনের বোধগম্য নয়। দেখা গেছে, আমরা একটি সড়কের সংস্কার বা মেরামত কাজ শেষ করেছি। এরপরই ওয়াসা কিংবা অন্যান্য সংস্থা সেটি খুঁড়ে রেখেছে। এতে আর্থিক অপচয় যেমন হচ্ছে, জনদুর্ভোগও হচ্ছে। এতে সিটি করপোরেশনের বিন্দুমাত্র দায় নেই। কিন্তু জনগণ সিটি করপোরেশনকে দোষারোপ করছে। যেহেতু সিটি করপোরেশন নির্বাচিত কর্মপরিষদ দ্বারা পরিচালিত, তাদের জবাবদিহিতা আছে। আমি সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে জনদুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছি’-এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেন সুজন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমি ছুটির দিনেও বাসায় বসে থাকি না। আমি আমার মেয়াদের প্রতিটি দিন মাঠে থাকতে চাই। যে কোনো সমস্যার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে অবহিত করলে, আমি সশরীরে সেখানে যাব। প্রটৌকল আমার কাছে মুখ্য নয়। মুখ্য হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের ডাকে সাড়া দেওয়া। এটাই আমার প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।’

পরিদর্শনের সময় প্রশাসকের সঙ্গে চসিকের প্রকৌশলীরাও ছিলেন।

নগরী সড়ক সুজন

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর