‘মামলা প্রত্যাহার নয়, শেখ হাসিনা হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন’
১০ মার্চ ২০১৮ ১৫:৫৩
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম: প্রত্যাহার নয়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
শনিবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রামে দলের এক সভায় হানিফ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর বিএনপি নেতারা অভিযোগ করছেন, আমরা নাকি শেখ হাসিনার মামলাগুলো ক্ষমতায় এসে প্রত্যাহার করেছি। আর খালেদা জিয়ারগুলো প্রত্যাহার না করায় তিনি নাকি জেলে আছেন। এটা ভুল কথা, এটা মিথ্যাচার। এই মিথ্যাচারের সঠিক জবাব আমাদের দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে কোন মামলা প্রত্যাহার হয়নি। হাইকোর্টে কোয়াশমেন্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। যেহেতু মামলার কোন মেরিট ছিল না, সে জন্য হাইকোর্ট খালাস দিয়েছেন। খালেদা জিয়াও হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। ভৈরব সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে উনার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল সেটাতে তো তিনি কোয়াশমেন্টের মাধ্যমে খালাস পেয়েছেন। কারণ, মামলার কোন মেরিট ছিল না।
বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে হানিফ বিএনপিকে আইনের পথে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আপনাদের আন্দোলন আদালতকে অবমাননা করার শামিল। বিচার ব্যবস্থাকে হুমকি দেবেন না।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ। এই দুর্নীতিবাজদের বিএনপির অনেক নেতারাই পছন্দ করেন না। তারা চান, বেগম জিয়া যাতে জেল থেকে বের না হোন। না হলে, এমন কথা কি কেউ শুনেছে যে চুরির দায়ে জেলে গেলে কারও জনপ্রিয়তা বাড়ে।
তারেহ রহমানকে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত একজন সন্ত্রাসী উল্লেখ করে হানিফ বলেন, লন্ডনে বসে তারেক জিয়া গুম-খুন, গুপ্তহত্যা-নাশকতার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কলকাঠি নাড়ছে। বিএনপি একজন সন্ত্রাসী এবং একজন দুর্নীতিবাজের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে।
‘আল্লাহর আইন চাই, সৎলোকের শাসন চাই’-জামায়াতের এই স্লোগানের কথা উল্লেখ করে হানিফ বলেন, সৎ লোকের শাসন একমাত্র শেখ হাসিনাই দিতে পারবেন। জামায়াত একটি যুদ্ধাপরাধীর দল। বাংলাদেশের মাটিতে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। এই দলে থাকা যাদের বয়স ৫০ বছরের নিচে তারা অন্যদলে চলে যান।
২১ মার্চ চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হানিফ। চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই বর্ধিত সভার আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী ডা,আফছারুল আমিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান এবং ওয়াসিকা আয়শা খানম।
সারাবাংলা/আরডি/ এমএইচ