পবিত্র আশুরা আজ, করোনায় উদযাপন সংক্ষিপ্ত
৩০ আগস্ট ২০২০ ০১:৩০
হিজরি ১৪৪২ সালের ১০ মহররম বা আশুরা আজ। আরবি ‘আশারা’ শব্দের শাব্দিক অর্থ ১০ বা দশম। হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররমের এই ১০ তারিখকেই বলা হয় আশুরা। মহান আল্লাহ বছরের যে কয়েকটি দিনকে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন, তার মধ্যে আশুরা অন্যতম। ঐতিহাসিক ও ঘটনাবহুল এ দিবসটিকে বলা হয় পৃথিবীর আদি-অন্তের দিন। অর্থাৎ এ দিনেই পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে, ধ্বংস বা কেয়ামতও এ দিনেই সংঘটিত হবে। তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটি তাই অত্যন্ত পবিত্র দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন মুসলিমরা।
শুধু তাই নয়, হিজরি ৬১ সনের এই দিনে মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহিদ হয়েছিলেন। তাদের সেই মহান আত্মত্যাগ স্মরণ করে শোক ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবেও গণ্য করা হয় আশুরাকে।
আরও পড়ুন-
- আশুরায় মিছিল নিষিদ্ধে ডিএমপির নির্দেশনা
- আশুরার আগমনেও হোসেনি দালান নিরুত্তাপ [ছবি]
- নেই তাজিয়ার জৌলুশ, আশুরা পালনে ভিন্নভাবে প্রস্তুত হোসেনি দালান
আজ রোববার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালিত হবে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর শিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে না। অন্যান্য কর্মসূচিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পালন করা হবে।
আশুরা উপলক্ষে আজ থাকছে সরকারি ছুটি। দিবসটি ঘিরে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারবালার শোকাবহ ঘটনা আমাদের অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে উদ্বুদ্ধ করে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা জোগায় বলে বাণীতে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি। অন্যদিকে আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিবছর আশুরা উপলক্ষে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে শিয়া সম্প্রদায় তাজিয়া মিছিল আয়োজন করে থাকে। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও শিয়া সম্প্রদায় নানা জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দিনটি পালন করে থাকে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর সব আয়োজনই থাকছে সংক্ষিপ্ত। এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আশুরা উপলক্ষে ঢাকায় সব ধরনের তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল নিষিদ্ধ করেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমাম বাড়াগুলোতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যাবে।
১০ মহররম আশুরা কারবালা তাজিয়া মিছিল শিয়া সম্প্রদায় হোসেনি দালান