৪৩-এ পা বিএনপি’র, চলছে টিকে থাকার লড়াই
১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:১৫
ঢাকা: আজ ১ সেপ্টেম্বর। ৪২ বছর পূর্ণ করে ৪৩-এ পা রাখলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল— বিএনপি। বিপুল জনসমর্থন ও কর্মী-সমর্থক থাকা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে দলটি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় ১৭ বছর কারাদণ্ড নিয়ে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক’ মুক্তি লাভের পর বাসায় রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ নিয়ে লন্ডনে নির্বাসনে রয়েছেন।
বিএনপির অভিযোগ, সারাদেশেই তাদের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয়েছে নির্যাতন-নিপীড়ন। হামলা-মামলার মাধ্যমে তাদের দল থেকে দূরে রাখা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কেন্দ্রীয় অনেক নেতাও। আর এ বাস্তবতাতেই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রীতিমতো অস্তিত্ব সংকটের লড়াই করতে হচ্ছে বিএনপিকে।
স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টম্বর ঢাকার রমনা রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এর আগেই গঠিত জাগদলকে (জাতীয় গণতান্ত্রিক দল) বিএনপির সঙ্গে একীভূত করা হয়। বিএনপির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান, মহাসচিব করা হয় অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে (বি. চৌধুরী)।
ক্ষমতা বলয়ের মধ্যে থেকে জন্ম নেওয়া বিএনপিতে ডান, বাম, মধ্যপন্থী— সবাই এসে জড়ো হন। আত্মপ্রকাশের দিন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথমে ১৮ সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন জিয়াউর রহমান। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২০৭টিতে জয়লাভ করে বিএনপি। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যেই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয় দলটি। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দুই বছরের মাথায় জিয়াউর রহমান আততায়ীর হামলায় নিহত হলে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি হন। পরে ১৯৮৩ সালে সাত্তারকে সরিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি হন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী খালেদা জিয়া। শুরু করেন এরশাদবিরোধী আন্দোলন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনতা এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শরিক হলে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হন সেনাশাসক এরশাদ। তিন দফা রূপরেখা অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিএনপি সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করে। প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। পাঁচ বছর দেশ শাসনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়াই ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেন তিনি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত গণতন্ত্রকে অনেকটা হুমকির মুখে ফেলে আয়োজন করা সেই একদলীয় নির্বাচনে ‘জিতে এসে’ দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেন খালেদা জিয়া। তবে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মুখে ওই সরকার মাত্র ৪৫ দিন স্থায়িত্ব পায়।
২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার সরকার গঠন করে বিএনপি। মোট ২১০টি আসন নিয়ে চারদলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতায় যায়। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে নিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে যেন পথ হারিয়ে ফেলে বিএনপি। পাঁচ বছর মেয়াদকালে দেশব্যাপী নির্বাচনোত্তর সহিংতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের নির্মম হত্যাযজ্ঞে ১০ জনের বেশি গ্রামবাসীকে হত্যা, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বাংলা ভাইয়ের আবির্ভাব, একযোগে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলা, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়াকে গ্রেনেড হামলায় হত্যা, সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের ত্রাণ সামগ্রী লুটপাট, টানা পাঁচ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন, সর্বোপরি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে।
২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর সরকারের বৈধ মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে দেশে শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘাত। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। সেদিন থেকে প্রায় দুই বছর দেশ পরিচালনা করেন ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ সরকারের তত্ত্বাবধানে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিএনপির। ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯ আসনে জয় লাভ করে তারা। সে থেকেই ক্ষমতার বাইরে বিএনপি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ‘সহনশীল’ আচরণ না পাওয়াটা বিএনপির বর্তমান দুরবস্থার অন্যতম কারণ হলেও এটিই একমাত্র বা প্রধান কারণ নয়। বরং একের পর এক ‘ভুল’ ও ‘হঠকারী’ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই স্বাধীনার পর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা বিএনপি গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে সাময়িকভাবে লাভবান হলেও দীর্ঘ পথযাত্রায় বিএনপির জন্য সিদ্ধান্তটি ছিল আত্মঘাতী। মূলত জামায়াত সম্পৃক্ততার কারণেই বিপুল জনসমর্থন ও জনভিত্তি থাকা সত্ত্বেও দুর্দিনে সাধারণ মানুষকে সেভাবে পাশে পাচ্ছে না বিএনপি। এছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দলটির রাজনীতির ইতিহসানে সবচেয়ে বড় ক্ষত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দীন খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এরশাদ পতনের পর প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এসে খুব খারাপ করেনি বিএনপি। কিন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাদের অনেক ভুলত্রুটি হয়েছে। সেই ভুলের মাশুল তারা এখনো দিচ্ছে। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বিএনপির দুরবস্থার জন্য বড় একটা ফ্যাক্টর। আওয়ামী লীগ-বিএনপির সম্পর্কের যে চরম অবনতি, তার পেছনেও রয়েছে এই গ্রেনেড হামলা। সর্বোপরি নানা রকম ভুল, ত্রুটি-বিচ্যুতি বিএনপিকে রাজনীতি থেকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। এখন তাদের যে অবস্থা, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা তাদের জন্য কঠিন।’
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সফলতার পেছনে ছিল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), প্রগ্রেসিভ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (পিএনপি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ডেমোক্র্যাটিক লীগ, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)-কে নিয়ে গঠন করা ৭ দলীয় জোট এবং বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), ইসলামী ঐক্যজোট, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) , বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, ন্যাপ ভাসানী, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), পিপলস লীগ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলকে নিয়ে ২০ দলীয় জোট গঠন করেও সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও মধ্যবর্তী নির্বাচন আদায়ে ব্যর্থ হয় তারা। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ‘নীল নকশা’র নির্বাচন আখ্যা দিলেও নিজেদের দাবির পক্ষে এখন পর্যন্ত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি বিএনপি। বরং রাজনীতির মাঠে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে দলটিকে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘লড়াই তো বটেই। তবে এই লড়াইটা কেবল বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নয়, বরং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা লড়াই করছি।’
বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকটও দেখছেন কেউ কেউ। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান— দু’জনের কারও কাছ থেকেই সক্রিয় নেতৃত্ব পাচ্ছে না বিএনপি। একজন কারাগারে (বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মেয়াদে নিজ বাসায়), আরেকজন নির্বাসনে থাকায় দলটি মূলত কাণ্ডারিহীন অবস্থায় রয়েছে। ২০১১ সালের মার্চে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের মহাসচিবের ভার দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন সফলতার সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করায় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনিই বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সিনিয়র সদস্যহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ভেতরে ভেতরে ফখরুলবিরোধী অবস্থান তৈরি করে রাখেন। ফলে অনেক সময় স্বাচ্ছন্দ্যে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে যায় মির্জা ফখরুলের পক্ষে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এমন পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি দলের ভাঙনরোধও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির জন্য। কারণ, প্রতিষ্ঠার পর বিএনপি অনেকবার ভাঙনের সম্মুখীন হয়েছে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দল ছেড়ে চলে যান। এদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ অন্যতম। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি প্রথম মহাসচিব অধ্যাপক ডা. বি. চৌধুরী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এরপর কতগুলো ঘটনায় বিএনপির সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। ফলে ছয় মাস রাষ্ট্রপতি থাকার পর বি. চৌধুরী পদত্যাগ করেন এবং বিএনপির একটি অংশ নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল বিকল্পধারা বাংলাদেশ গঠন করেন।
২০০৬ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগের দিন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নিয়ে বিএনপি ত্যাগ করেন এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারার সঙ্গে একীভূত হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) গঠন করেন।
ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে বিএনপি আরেক দফা ভাঙনের মুখে পড়ে। সে সময় প্রয়াত সাইফুর রহমান এবং বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদের নেতৃত্ব আরেকটি বিএনপি গঠনের চেষ্টা করা হয়। অবশ্য সময়ের ব্যবধানে সেই সংকট থেকে বেরিয়ে আসে বিএনপি। তবে এখনো ভাঙনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেন না বিএনপি নেতারা।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত ১৪ বছরে বিএনপির সব চেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে, দলের অখণ্ডতা রক্ষা। এত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বিএনপির একজন নেতাকর্মীও দল ছেড়ে বেরিয়ে যায়নি। আর গত ৪২ বছরের অর্জন হলো— বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন, মিশ্র ও বাজার অর্থনীতি চালু সর্বোপরি বিপুল ও ব্যাপক জনসমর্থন।’
৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৪৩-এ পা খালেদা জিয়া জিয়াউর রহমান তারেক রহমান প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর