Wednesday 04 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবন্ধু-হাসিনার ছবি ভাঙচুর, জামায়াত নেতাসহ কারাগারে ৬


১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৩৮ | আপডেট: ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৩২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই জামায়াত নেতা এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থী তিন শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে তারা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন।

বিজ্ঞাপন

যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর আ ন ম শামসুল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও জামায়াতের নগর কমিটির নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসান উল্লাহ এবং তিন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেসের ডিন মাহবুব রহমান, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাউছার আহমেদ ও সহকারী অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম।

এদের মধ্যে মাহবুব ও কাউছার জামায়াতের রুকন এবং বাকি দুজনও জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আদালতে অতিরিক্ত পিপি ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দীন বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলার এজাহারে ২৯ জানুয়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়। দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮ ধারার পাশাপাশি ১২৪(ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগসম্বলিত এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর আসামিরা হাইকোর্ট থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ ছিল ১৮ মার্চ পর্যন্ত। এরপর তাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করতে বলা হয়েছিল। আসামিপক্ষ ১৬ মার্চ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আদালত ১ সেপ্টেম্বর শুনানির সময় নির্ধারণ করেছিলেন। ধার্য তারিখে পূর্ণাঙ্গ শুনানির পর আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

ছবি জামায়াত নেতা টপ নিউজ ভাঙচুর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর