ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:০৪
ঢাকা: অবৈধ সম্পাদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামির উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর চার্জ শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ বদলির আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে চার্জশিটটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন।
চার্জশিট থেকে জানা যায়, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধিশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যবাবদ তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। অ্যাপার্টমেন্টটি কেনার জন্য বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের কেনা সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ অক্টোবর দুদকের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেফতার করা হয় বজলুর রশীদকে। এর আগে তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে স্ত্রীকে পাঠানোর অভিযোগের অনুসন্ধানে নামে দুদক। এর অংশ হিসেবে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদে রুপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ৩ কোটি ৯ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার তথ্য পায় দুদক। বজলুর রশীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাকে গ্রেফতার করে।
অবৈধ সম্পাদ অর্জনের মামলা কারা অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শক ডিআইজি প্রিজনস দুদক বজলুর রশীদ