Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন হবে’


২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:২৪

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার। ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট সে মামলার রায়ের মাধ্যমে শেষ হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার আইনি ও বিচারিক কার্যক্রম। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী যারা, তাদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনতে কমিশন গঠন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি আয়োজিত এক বিশেষ ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সোমবার (৩১ আগস্ট) রাতে ‘জাতির পিতার হত্যার বিচার: জাতির প্রত্যাশা এবং রাষ্ট্রের করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সভাপতি ড. সাইদুর রহমান খান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আবদুল মতিন খসরু বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘মাস্টারমাইন্ডদের’ চিহ্নিত করতে হবে। ১৫ অগাস্টের চক্রান্ত তো একদিনে হয়নি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। মাস্টারমাইন্ড হিসেবে শাহ মোয়াজ্জেম, ওবায়দুর রহমানসহ আরও নাম আসবে। জাতির অধিকার আছে তাদের ব্যাপারে জানার। হাই পাওয়ারের একটা জাতীয় কমিশন গঠন করে শ্বেতপত্রও প্রকাশ করতে হবে।

আবদুল মতিন খসরুর কথায় সায় দেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাবেক প্রধান কৌঁসুলি সিরাজুল হকের ছেলে বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পেছনে যারা ছিলেন, সেই সব কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে। কমিশন গঠনের উদ্যোগ অনেকটা এগিয়েও গেছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামলে নিয়ে এই কমিশনের রূপরেখা প্রণয়নের কাজও এগিয়ে নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা যদি আজ তাদের চিহ্নিত করতে না পারি, আমরা যদি তাদের মুখোশ উন্মোচন না করতে পারি, এবং তাদের বংশধরদের চিহ্নিত না করে যেতে পারি, তাহলে এখনকার নতুন প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ফের হুমকির মুখে পড়বে। সেটা আমাদের জন্য দায়িত্বশীল কাজ হবে না। সে কারণে আমাদের কমিশন করা প্রয়োজন।

আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর ও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করার জন্য একটি কমিশন হওয়া দরকার, যেন তরুণ প্রজন্ম জানতে পারে, বঙ্গবন্ধু কী সোনার বাংলা চেয়েছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জিয়া ছিলেন সেদিনের ব্লুপ্রিন্টের খলনায়ক।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি ছিল আমাদের সবার। পরে আমরা ৬১টি সই নিয়ে এই হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু করেছিলাম।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারটি আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও বিজয় টিভির পর্দায় এবং সময় টিভি, সারাবাংলা, বিডিনিউজ২৪, বাংলা নিউজ২৪, বার্তা২৪, সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক, ভোরের কাগজ, জাগো নিউজ২৪, বাংলাদেশ জার্নাল, ঢাকাটাইমস ও অপরাজেয় বাংলার ফেসবুক পাতায় সরাসরি প্রচারিত হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আওয়ামী লীগ আনিসুল হক আব্দুল মতিন খসরু ওয়েবিনার ড. সেলিম মাহমুদ নজিবুল্লাহ হিরু পরিকল্পনাকারী বঙ্গবন্ধু হত্যা মোশাররফ হোসেন কাজল শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ষড়যন্ত্রকারী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর