ভারত থেকে বেড়েছে পাথর আমদানি, কমেছে দাম
২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:২৬
হিলি (দিনাজপুর): দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর জেলার হিলি। সম্প্রতি এই বন্দর দিয়ে রেল ও সড়কপথে ভারত থেকে পাথর আমদানি বেড়েছে। সেই সাথে বন্দর এলাকায় কমেছে আমদানি করা পাথরের দাম।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের অভ্যন্তরে সরকারের চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব আমদানি করা পাথর। আর এসব পাকুর জাতের পাথর রেল ও সড়ক পথে আনা হচ্ছে ভারতের ঝাড়খান রাজ্য থেকে। রেল ও সড়কপথে আমদানি করায় বন্দরে বেড়েছে পাথরের সরবরাহ। বেড়েছে বেচাকেনা, কমেছে দাম, সেই সাথে বাড়ছে সরকারের রাজস্ব।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দর এলাকায় ব্যবসায়ীদের মাঝে কর্মপ্রাণঞ্চলতা ফিরে এসেছে। গত একমাস আগে যে পাথর হিলি বন্দরে বিক্রি হয়েছে প্রতি টনে ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার টাকা দরে, সেই পাথর এখন প্রতি টনে ৭০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা দরে।
হিলি স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারক পলাশ বলেন, ‘দেশে পাথরের চাহিদা বাড়ায় এখন রেল ও সড়ক পথে আমরা পাথর আমদানি করছি। সম্প্রতি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাথরের দাম কমেছে। আর দাম কমে যাওয়ায় বেড়েছে বেচা-কেনা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো আশা করছি।’
কথা হয় বন্দরে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিকের সাথে। তারা জানান, সড়ক পথের সাথে রেল পথে পাথর আমদানি হওয়ায় তাদের কাজ বেড়েছে। আগে তারা প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা মজুরি পেলেও এখন তার থেকে বেশি পাচ্ছেন।
হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পাথরের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে। গত একমাসে ভারত থেকে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। যেখান থেকে ৩ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলেও জানান তিনি।