অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও অপচয় রোধ করতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:২২
ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও অপচয় অব্যশ্যই রোধ করতে হবে। কাজ করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে যা লাগবে তা খরচ করতে এক মিনিটও দেরি করবেন না। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করবেন না। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব যেভাবে অভিযোজন করছে আমরাও সেভাবে অভিযোজন করেই চলব। কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে আমাদের নিজস্ব। যেমন- শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই সবকিছু নয়। এর বাইরে আর্থিক বিষয়টিতে সাবধান হতে হবে।
বুধবার (২ সেপ্টম্বর) পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান শক্তিশালীকরণ (ইসিডিএস) প্রকল্পের দুদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জুয়েনা আজিজ। এছাড়াও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, জনগণের পুরো পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের আত্মার সঙ্গেও আপস করব না। আমাদের অভিযোজন করেই চলতে হবে। এর বাইরে আমরা বাস করতে পারব না। বিশ্বের সব প্রাণীই অভিযোজন করে বেঁচে থাকে। দৈন্দদিন অভিযোজন করেই চলতে হবে। সরকারে একমাত্র তথ্য প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে বিবিএস যেমন গর্ববোধ করে, তেমনি দায়িত্বও পালন করতে হবে সঠিকভাবে। তথ্য সঠিক ও নিখুঁত হওয়া খুবই জরুরি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুয়েনা আজিজ বলেন, ‘পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন উঠে থাকে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো প্রশ্নের সৃষ্টি না হয়। সতর্কতার সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। পরিসংখ্যান সঠিক না হলে উন্নয়ন পরিকল্পনাও সঠিক হয় না। যেমন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অনেক সময় ডুপ্লিকেশন হয়। এটি পরিহার করতে এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ পাঠানো হচ্ছে।’
মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘যেকোনো উদ্যোগের আগে অবস্থান জানা প্রয়োজন। আর সেই অবস্থান জানতে প্রয়োজন সঠিক পরিসংখ্যান। এসডিজির ক্ষেত্রে জলবায়ুর তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে একটি সরকার পরিচালিত হয়। তবে সরকারের একক কোনো বিভাগ একক ধরণের কাজ করলেও কাজটা কিন্তু সামগ্রিকই হয়।’
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ২৩১টি সূচকের মধ্যে ৫টি সূচক সরাসরি এবং আংশিক বা পরোক্ষভাবে ১১টি সূচকের তথ্য উপাত্তের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান শক্তিশালীকরণ (ইসিডিএস) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৩৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বা সংস্থার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এসডিজি মোতাবেক পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নে মেটো ডাটা উপলব্দি বা বোঝার জন্য এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।