ইউজিসিতে প্রায় ৩ হাজার অসচ্ছল শিক্ষার্থীর তালিকা পাঠিয়েছে জবি
৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:৪৪
ঢাকা: শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশননের (ইউজিসি) কাছে প্রায় ৩ হাজার অসচ্ছল শিক্ষার্থীর তালিকা পাঠিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান প্রতিবেদককে মুঠোফোনে এসব তথ্য জানান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অনাকাক্ষিত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করার জন্য ২৫ জুন ২০২০ তারিখ কমিশন এবং উপাচার্যদের মধ্যে জুম ক্লাউডে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্যদের মতামতের ভিত্তিতে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমে যাতে সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ এবং সফট লোন/গ্রান্টস-এর আওতায় স্মার্টফোন সুবিধার নিশ্চয়তা দিতে কমিশন থেকে শিক্ষামন্ত্রীর বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান মুঠোফোন আলাপে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধু তালিকা তৈরি করেছে। সে তালিকা সরকারের কাছে যাবে কি যাবে না সেটাও তাদের জানা নেই। ইউজিসি তালিকা পাঠিয়েছে সেটা পাঠানো হচ্ছে মূল কথা। ডাটা সুবিধা, সফট লোন বা স্মার্টফোন কে কি পাবে তা এখন পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। সকল বিভাগ থেকে তালিকা পাঠানোর পর আমরা তা একত্রে করে ইউজিসিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ইউজিসি ও শিক্ষার্থীদের কি দেওয়া হবে, কবে দেওয়া হবে বা কতজনকে দেওয়া হবে এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি।’
ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্মার্টফোন কেনার জন্য লোন দেওয়ার প্রক্রিয়াটির কাজ চলছে। আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে তালিকা চেয়েছি। তাদের অনেকের কাছ থেকেই আমরা সাড়া পেয়েছি। স্মার্টফোন কেনার জন্য লোনের প্রক্রিয়াটি জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। ফান্ডের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেপ্টেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাবে। এরপর ইউজিসির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেই সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে শিক্ষার্থীদের হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যাবে। বিষয়টির সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমকে। বিস্তারিত জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।’
স্মার্টফোন কেনার জন্য লোন ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর এমন শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছি যাদের ডিভাইস নেই বা কেনার সামর্থ্য ও নেই। লোনের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের জানাবে এবং সেটা কি প্রক্রিয়ায় দেওয়া সেটাও তারা জানিয়ে দেবে। এরপর ইউজিসি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিবে।