‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা কাজে লাগাতে পরিকল্পনা জরুরি’
৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:০৪
ঢাকা: ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা কাজে লাগাতে দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালা প্রণয়ন, শিক্ষাব্যবস্থার যুগোপযোগীকরণ, অবকাঠামো ও মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়সহ এ খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরাগ।
স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়নসহ সর্বোপরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের শিল্পখাতে এ বিপ্লবের সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন, শিক্ষাব্যবস্থার যুগোপযোগীকরণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ এখাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া জরুরি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নতুন নতুন ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এর যথাযথ বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আমাদের অর্থনীতি কৃষির ওপর অধিক হারে নির্ভর থাকলেও আজকে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখছি। বাংলাদেশের জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে হলে জনগণের কাছে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা দ্রুত পৌঁছাতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের তথ্য-প্রযুক্তি গ্রহণের সক্ষমতা অত্যন্ত বেশি, যেটি করোনা মহামারির সময় প্রমাণিত হয়েছে এবং বর্তমানে মহামারির সময়ে দেশের টেলিকম খাত মানুষকে সর্বাত্মক সেবার চেষ্টা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে বাংলাদেশে ৮ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে, যেখনে ৮ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতো, সেখানে বর্তমানে দেশে ২১০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে এবং এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা বাড়াতে হতে পারে। বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিভাবে কাজ করবে এবং কিভাবে দেশের মানুষের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়, তার উপর নির্ভর করে এ বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।’
ওয়েবিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনির্ভাসিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর সহযোগী অধ্যাপক সাজিদ আমিত। আলোচনায় আরও অংশ নেন- শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরাগ, পাঠাও এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ফাহিম আহমেদ, এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল হায়দার, বিজিএমইএ’র পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানাইজেশন স্ট্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান, বুয়েট’র তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাতাহ এবং ইউনিডো’র বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি জাকি উজ্জ জামানসহ আরও অনেকে।