গভীররাতে কুপিয়ে জখম, হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো ইউএনও ওয়াহিদাকে
৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:২১
ঢাকা: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে হেলিকপ্টারে এনে ঢাকায় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখনও অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। তার বড় ধরনের অস্ত্রপোচার করা দরকার।
এর আগে, গতকাল বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সরকারি বাসভবনে ইউএনও ও তাঁর মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর আলী শেখকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ইউএনওকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রাজকুমার নাথ জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথার বাঁ পাশে যে ধারালো আঘাত রয়েছে তা অত্যন্ত গুরুতর। তিনি সঙ্গাহীন অবস্থায় রয়েছেন। তার বড় ধরনের অপারেশন করা দরকার। এজন্য দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মই বেয়ে ইউএনওর সরকারি বাসায় প্রবেশ করে। তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় ইউএনওর চিৎকার শুনে ঘরে থাকা বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
এরপর বাবা-মেয়ে দু’জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের রংপুরে পাঠানো হয়। এদিকে হামলার ঘটনার ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বর ঘিরে রেখেছে প্রশাসন। দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম জানান, হত্যার উদ্দেশেই ইউএনওর ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, নওগাঁ থেকে মাঝেমধ্যে মেয়ে ওয়াহিদা খানমের বাসায় বেড়াতে আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর আলী শেখ।
ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।