বিএনপির রাজনীতি নতুন করে সাজাতে হবে: টুকু
৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:২৮
ঢাকা: বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিএনপির রাজনীতিকে নতুন করে সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৩তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এ সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কন্ডিশনাল গৃহবন্দি। তিনি যেদিন জনগণের সামনে বক্তব্য রাখবেন, সেদিনই তিনি মুক্ত হবেন। তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরে জনগণের মধ্যে কথা বলবেন, সেদিন তিনি মুক্ত হবেন। ফলে তাদের মুক্তির পথে কী কী বাধা আছে, কী ব্যারিকেড আছে, সেগুলো চিন্তা করে বিএনপিকে রাজনীতি সাজাতে হবে। বিশ্ব রাজনীতি এখন চেঞ্জ হয়ে গেছে। এগুলো অ্যাড্রেস করে আমাদের আগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা গিয়েছিলাম গণতন্ত্র রক্ষা করতে। যেই ফোর্সগুলো আমাদের সময়ে ইমার্জেন্সি এনেছিল, সেই ফোর্সগুলোই তো…। এখন এসব জায়েজ, আমাদের সময়ে জায়েজ ছিল না। কারণটা হচ্ছে, আমাদের দল ন্যাশনালিস্ট পার্টি। জিয়াউর রহমান জাতীয় স্বার্থরক্ষায় একটি দল তৈরি করেছিলেন, বেগম জিয়া এর নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তারেক রহমান ২০০১ সালে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি একজন গেম চেঞ্জার।’
‘এ কারণেই বিএনপির নেতৃত্ব ওপর নির্যাতন চলছে। এই নির্যাতনের অংশ হিসেবে বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে,’— বলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
২০০৬ সালে নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশেও আমাদের সময়ে আমরা এনক্লুসিভ নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অপজিশন করতে দেয়নি। কত কিছু হলো, জাতিসংঘের চিঠি এলো। এরপর একটা বিশেষ সরকার আসলো, তারা তাদের মতো থাকলো। এরপর তারা তাদের তপ্লিবাহক লোককে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে গেল।’
টুকু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করল, কোনো ইমার্জেন্সিও হলো না, কিছুই হলো না। যে র্যাব, পুলিশ আমাদের হত্যা করছে, গুম করছে— ঠিক যেমন সিরিয়াতে হচ্ছে; অথচ তাদের বিরুদ্ধে তো ইউএন কিছু বলে না।’
ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ অন্যরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওবায়দুর রহমান চন্দন।