ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের, দুষ্প্রাপ্য কাঁচামরিচ
৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:০১
ঢাকা: বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ আরও বেড়েছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। গেল সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে কোন কোন সবজির দামও বেড়েছে ১০ টাকা। কাঁচামরিচ বাজারে এখন অনেকটাই দুষ্প্রাপ্য। দাম বেশি হওয়ায় অনেক সবজির দোকানেই এখন আর কাঁচামরিচের দেখা মিলছে না। আর ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে। স্থির রয়েছে চালের বাজার। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) কারওয়ানবাজার সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
কারওয়ানবাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫২ থেকে ৬০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতা গৌতম বাবু সারাবাংলাকে বলেন, পাবনার দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ৬০ টাকা ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে৷ আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি।
আরেক পাইকারি বিক্রেতা রহিম সারাবাংলাকে বলেন, পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। মহাখালীর বউবাজারে নিম্নমানের দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া পাইকারি বাজারে রসুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা ও আদা ১৪০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রসুন ও আদার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
সবজির মধ্যে কারওয়ানবাজারে বেগুন ৭০ টাকা , ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা রবিন সারাবাংলাকে বলেন, গেল সপ্তাহের চেয়ে কিছু সবজির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। নতুন করে কোন সবজির দাম কমেনি।
আর মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেরশ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা ও করলা ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর এই বাজারে শসা ৪০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা হালিতে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ৮০ টাকা ও আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এই বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, বন্যার কারণে সব সবজির দাম বাড়তি রয়েছে। সাধারণ সময়ের চেয়ে কোন কোন সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি।
এছাড়া বাজারে চালের দাম আগের মতোই স্থির রয়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৫ টাকা, আটাশ ৪৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম পড়ছে ২৬০০ টাকা, আটাশ ২২০০টাকা ও নাজিরশাইল ২৮০০ থেকে ২৯০০ টাকা।
এদিকে, কারওয়ানবাজারে গরু ৬০০ ও খাসি ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২৫০ টাকা ও সাদা কর্ক ২৩০ ও দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুরগির দাম গেল সপ্তাহের মতোই স্থির রয়েছে।