ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না: গয়েশ্বর
৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:২৯
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বচন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হজমশক্তি খুব বেশি। যার ফলে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যাসহ হাজারো ঘটনাকে তারা হজম করতে পেরেছে। কিন্তু যৌবনে এই শক্তিকে স্বাভাবিক মনে হলেও পরবর্তী জীবনে এর খেসারত দিতে হয়। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।’
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘ইতিহাস বিকৃতির অপতৎপরতা রুখতে হবে’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি কমিউনিকেশন সেল-বিএনআরসির উদ্যোগে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘যারা সত্য ঘটনা আঁড়াল করতে ইতিহাস বিকৃত করে তাদের মস্তিস্কই হচ্ছে বিকৃত। কারণ, তারা মনে করে এভাবে ইতিহাস রচনা করা যায়। কিন্তু ইতিহাস কিন্তু তার নিজস্ব গতিতেই চলে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন—এটাই সত্য। তার এ ঘোষণা মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার অ্যাড্রেস করেছে। অনুমোদন দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট রক্তাক্ত ইতিহাসে সুবিধাভোগী হয়েছিল আওয়ামী লীগই। তখনকার ইতিহাসে ওই রক্তাক্ত সিড়ি বেয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরাই পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ওই সময়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ছিলেন। শেখ মুজিব হত্যার পর তিনি সংবিধান অনুযায়ি রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলেছিলেন। তিনি কাউকে সমর্থন জানাননি। তিন বাহিনী প্রধান খন্দকার মোশতাকের শপথ অনুষ্ঠানে গেলেও জিয়াউর রহমান যাননি। এরপরও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতিতে তাকে হেয় করার জন্যই ওই ঘটনায় তাকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। ইতিহাস বিকৃতি করছে।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস বিকৃতির ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জড়ানোর নীল নকশা করেছে। কিন্তু ওই রক্তাক্ত রাজনৈতিক ইতিহাসের হাত ধরেই ওয়ান ইলেভেনকে তরান্বিত করা হয়েছে। যার সুবিধাভোগীও আওয়ামী লীগ।’
ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় পরিচালনা করেন বিএনপি কমিউনিকেশন সেলের (বিএনআরসি) প্রধান এবং দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।